In Sylhet, five lakh people are stuck in water, running to shelters
সিলেটে পাঁচ লাখ মানুষ পানিবন্দি, ছুটছেন আশ্রয়কেন্দ্রে

সিলেটে পাঁচ লাখ মানুষ পানিবন্দি, ছুটছেন আশ্রয়কেন্দ্রে

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

নিজেস্ব প্রতিবেদক উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন  :
সিলেটে বাড়ছে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা। জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে ৭টিতে বন্যা দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে পাঁচটির অবস্থা ভয়াবহ। জেলা প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৭ উপজেলায় ৫ লাখ ৩৩ হাজার ২০২ জন বন্যাকবলিত হয়েছেন।
আর আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠেছেন ৪ হাজার ৮০২ জন। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত পানিবন্দি ও আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠা লোকজনের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানা গেছে।
ঘূর্ণিঝড় রিমেলের প্রভাবে ভারতের মেঘালয় ও আসামের পাহাড়ি এলাকায় টানা ভারি বৃষ্টিপাত হয়। ফলে সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জে বন্যা দেখা দেয়।
সুরমা, কুশিয়ারা, সারি, লোভা, ধলাই ও পিয়াইন নদীর বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে ও উপচে পড়ে ওই পাঁচ উপজেলর বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত হয়। এদিকে, গত বৃহস্পতিবার থেকে কুশিয়ারা নদীর পানি ঢুকতে থাকে বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জের বিভিন্ন স্থান দিয়ে। ফলে এ দুই উপজেলাও বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।
জেলা প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সিলেটের ৭ উপজেলার ৫ লাখ ৩৩ হাজার ২০২ জন বন্যাকবলিত হয়েছেন।
এর মধ্যে গোয়াইনঘাট উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের ২ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫০ জন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৩ ইউনিয়নের ৯৩ হাজার জন, কানাইঘাট উপজেলার ৯ ইউনিয়নের ৮০ হাজার ৬০০ জন, জৈন্তাপুরের ৩ ইউনিয়নের ৬৫ হাজার জন, জকিগঞ্জের ৮ ইউনিয়নের ৩৯ হাজার ৮৫২ জন, বিয়ানীবাজারের ৫ ইউনিয়নের ৫ হাজার ৫০০ জন ও গোলাপগঞ্জের ১ ইউনিয়নের ৩৫০০ জন পানিবন্দি হয়েছেন।
এখন পর্যন্ত জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে ৭টি বন্যাকবলিত হলেও সবকটি উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলার ১৩টি উপজেলায় মোট ৫৪৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এতে আশ্রয় নিয়েছেন ৪ হাজার ৮০২ জন।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জকিগঞ্জের ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে  ৯৫ জন, জৈন্তাপুরের ৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৬৭৫ জন, গোয়াইনঘাটে ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৩৫৬ জন, কানাইঘাটে ৩১টি আশ্রয়কেন্দ্রে  ১৪৬৬ জন, কোম্পানীগঞ্জে ৩৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৩৫ জন, বিয়ানীবাজারের ৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৬০ জন, গোলাপগঞ্জের ৫৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৫ জন আশ্রয় নিয়েছেন।
বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা হ্রাস বৃদ্ধি করা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।

 


উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.