humanchain_Against_pond_in_paba_Rajshahi
রাজশাহী পবায় পুকুর খননের বিরুদ্ধে মানবন্ধন

রাজশাহী পবায় পুকুর খননের বিরুদ্ধে মানবন্ধন

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

 

ষ্টাফ রিপোর্টার || উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন ::  রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছি ইউনিয়নের দাদপুর এলাকাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ পুকুর খননের বিরুদ্ধে শনিবার (২৯জুন ২০২৪ইং) বড়গাছি এলাকায় মানববন্ধন করেছেন ।

 

স্থানীয় কৃষক ও স্থানীয় বাসিন্দারা মানববন্ধনে অভিযোগ করেন বলেন –  অত্র এলাকায় তিন বিঘা ফসলি জমিতে অবৈধ পুকুর খনন করার চেস্টা করছে একটি কুচক্রি মহল। অথচ হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে-  তিন বিঘা ফসলি নস্ট করে পুকুর খনন করা যাবেনা ও  পাকা রাস্তা নষ্ট করা যাবেনা । 

 

রাজশাহী পবা বড়গাছি দাদপুর গ্রামে অবৈধভাবে কৃষি জমিতে অবৈধভাবে  পুকুর খননকারী – অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান মানজাল যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ( রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ ), এনামুল ওরফে মইফুল – পিতা – মৃত মকবুল, আব্দুল্লাহ আল মামুন, বড়গাছি দাদপর এলাকার শরিফুল – পিতা : নইমুদ্দিন ওরফে খবির,দাদপুর এলাকার বদিউজ্জামান বদিসহ একটি গ্রুপ কৃষকদের জমি জমি জোরপূর্বক লিজ নেয়ার চেস্টা চালিয়ে আসছে।

  

পুকুর খনন বিষয়ে বড়গাছি ইউনিয়নের দাদপুর গ্রামের কৃষক নাসির আলী বলেন – আমরা দাদপুর গ্রামে অবৈধভাবে কাউকে পুকুর খনন করতে দেবোনা। কেননা কোন আইনে নেই ৩ বিঘা ফসলী জমিতে পুকুর খনন করা যাবে। বিধায় আমরা পুকুর খননের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মাননবন্ধন করছি।

 

স্থানীয় আরেক কৃষক আলমগীর আলী বলেন – কৃষকদের জিম্মি করে মানজাল,বদিউজ্জামান বদি,আব্দুল্লাহ আল মামুন, এনামুল ওরফে মইফুল ও  শরিফুল পুকুর খননের অপচেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা কোন মতেই অত্র এলাকায় পুকুর খনন করতে দেবোনা।

 

উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত দাদপুর গ্রামের বাক্কার, দুলাল পুকুর খননের বিষয়ে আইনী ব্যাখ্যা করে বলেন- তিন ফসলি জমিতে পুকুর খননের বিষয়ে কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না কেউ। এছাড়াও পুকুর খননের ফলে কমছে আবাদযোগ্য জমি নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ ও সরকারী রাস্তাঘাট। এসব অবৈধ কাজ বাংলাদেশ সংবিধানের অপরাধ বিচার ও দণ্ড আইন ১৫(১)এর ৪ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কেউ বালু বা মাটি উত্তোলন করলে সেই ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ অনূর্ধ্ব ২ বছর কারাদন্ড বা ৫০ হাজার হইতে ঊর্ধ্বে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। এছাড়াও এসব কর্ম পুলিশ আইন অনুযায়ী ১৮৬১ ও বাংলাদেশ কৃষি জমি সুরক্ষা ও ব্যবহার আইন ২০১৬ এর ৪ নম্বর ধারা ও ইটভাটা আইন-২০১৩ এর ৫ নম্বর ধারার পরিপন্থী। 

 

তাছাড়াও  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুমতি ছাড়াই ভূমির শ্রেণী পরিবর্তনের অনুমতিক্রমে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই বেশ কিছু জায়গায় সরকারি বিধি ভঙ্গ করে চলছে অবৈধ পুকুর খনন। পুকুর খননকারীদের কাছে এ বিষয়ে তথ্য চাইলে তিনি উল্টো ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে চলেছেন। অনুমতির কাগজের বিষয়ে জানতে চাইলে কাগজ দেখাতে তারা অপারগতা প্রকাশ করে।


উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.