তানোর প্রতিনিধি, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: করোনাকালীন সময় থেকেই আর্থিক সংকটে ভুগছিলেন রাজমিস্ত্রি সজল আলী (২২) ও কিরণ আলী (২২)। দুজনই রাজশাহীর তানোর উপজেলার বিল্লী এলাকায় একটি সরকারি প্রকল্পে কাজ করছিলেন। নির্মাণ সাইটের পাশেই ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং শাখা রয়েছে। ভবনের দোতলায় ছিল শাখাটি। এজেন্টের বাড়িও বেশ দূরে। আবার এলাকাটি একেবারেই প্রত্যন্ত। এসব মাথায় রেখেই এজেন্ট ব্যাংক লুটে পরিকল্পনা সাজান তারা।
সাইটে লোহা কাটার যন্ত্রও ছিল।গভীর রাতে সেই যন্ত্র নিতে গিয়ে দেখে ফেলে সহকর্মী কিশোর। তাকে সঙ্গে নিয়েই ব্যাংক লুটে নেমে পড়েন দুই যুবক। গত ২৫ আগস্ট গভীর রাতে এজেন্ট ব্যাংকটিতে হানা দেয় তিনজন। কিন্তু কোনো টাকা পয়সা পায়নি তারা।সেখান থেকে ২১টি এটিএম কার্ড, ২২টি বিভিন্ন দেশের নোট, কিছু চেক বই, কম্পিউটার সামগ্রী, ফিঙ্গারপ্রিন্ট যন্ত্র নিয়ে যায় তারা। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে তানোর থানায় মামলা করেন এজেন্ট ব্যাংকের স্বত্বাধিকারী সেফাউর রহমান। ওই রাতেই আসামিদের ধরতে অভিযানে নামে তানোর থানা পুলিশ। জড়িতদের শনাক্ত করে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থানও নিশ্চিত হয়। চারঘাটের চন্দনশহর এলাকার বাড়ি থেকে সজল আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ওই রাতেই তানোর উপজেলার মেরামতপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় কিরণ আলীকেও। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার পিরোজপুর এলাকার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় তাদের কিশোর সহযোগীকে। তাদের কাছ থেকে লুট হওয়া মালামাল উদ্ধার করে পুলিশ।
রাজশাহী তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে জানান , গত ২৬ আগস্ট গভীর রাতে উপজেলার বিল্লি বাজার এলাকার ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকের মালামাল লুট হয়ে যায়। ঘটনার ৪ দিন পর থানায় মামলা করেন এজেন্ট সেফাউর রহমান। এরপরই ৩ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে তাদের আদালতে তোলা হয়। গ্রেফতার সজল আলী ও কিরণ আলীর পরিকল্পনায় এই কান্ড। উদ্দেশ্য জেনে যাওয়ায় পরে ওই কিশোরকে সঙ্গে নেয় তারা।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com