স্টাফ রিপোর্টার। উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: মাসখানেক আগে বাথরুমে পড়ে যান বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। এক্স-রে করে দেখা যায়, তাঁর কোমরের হাড়ে হালকা চিড় ধরেছে। সেই থেকে তিনি শয্যাশায়ী হয়ে রয়েছেন। তাঁর শরীরে লবণের ঘাটতি দেখা গিয়েছে। তিনি কাউকে চিনতে পারছেন না। একরকম ঘোরের মধ্যে রয়েছেন। লেখকের ছেলে তথা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ইমতিয়াজ হাসান মৌলি জানান, তাঁর বাবার চিকিৎসার দায়িত্বে আছেন আটজন চিকিৎসক। তাঁরা বাড়িতেই লেখকের চিকিৎসা করছেন।
লেখকের ছেলে জানান, তাঁর বাবার বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা রয়েছে। তিনি হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছেন। ডায়াবেটিসও রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে হাইপোন্যাট্রিমিয়ায়। এই রোগে শরীরে লবণের ঘাটতি হয়। সেজন্য তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। লবণের ট্যাবলেটও দেওয়া হচ্ছে। তিনি বেশি কথা বলতে পারছেন না। ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে পড়ছেন। শ্রবণশক্তিও হারিয়ে ফেলেছেন অনেকাংশে।
গত সোমবার সন্ধ্যায় ইমতিয়াজ হাসান ফেসবুকে জানান, তাঁর মা মারা যাওয়ার পর থেকে লেখক খুব একা হয়ে পড়েছিলেন। কোভিড অতিমহামারীর মধ্যে তিনি আরও একাকী বোধ করছেন। তিনি মানুষের সঙ্গ পছন্দ করেন। লেখকের ছেলে জানিয়েছেন, গত একমাস ধরে তাঁর বাবাকে শিশুর মতোই পরিচর্যা করতে হচ্ছে। পরিবারের সদস্যরা বাদে খুব অল্প লোকই লেখকের এই অসুস্থতার খবর জানেন।
১৯৩৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি লেখক পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার যবগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জীবনের অধিকাংশ সময় তাঁর কেটেছে রাজশাহীতে। ১৯৭৩ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনের অধ্যাপক হিসাবে যোগ দেন। অবসর নেন ২০০৪ সালে। রাজশাহী মহানগরীর চৌদ্দপাই অঞ্চলে তিনি বসবাস করেন।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com