কিন্তু এই বিতর্কের মাঝেই নতুন বাংলা বছরে অর্থাৎ ১৪৩১ সালে ইংরেজী ১৪ই এপ্রিল ২০২৪ সালে গোদাগাড়ীতে বালু মহাল ইজারা পান রাজশাহীর বর্ষ সেরা করদাতা মুখলেসুর রহমান মুকুলের প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স মুন এন্টারপ্রাইজ’।
কিন্তু অভিযোগ উঠেছে ‘মেসার্স মুন এন্টারপ্রাইজ গোদাগাড়ীর যোতগোসাইল অঞ্চলে বালু উত্তোলন করছে সে অঞ্চলে এখনও পাইপ দিয়ে বালু উত্তোলন করে চলেছেন গত বছরের ইজারাদার। এ বিষয়ে সরেজমিন গোদাগাড়ীর বালুর ঘাটের ঐ অঞ্চলে গিয়ে দেখা যায় গত বছরের ইজারাদার এখনোও পাইপ দিয়ে বালু উত্তোলন চলমান রেখেছেন।
তবে এই বিষয় নিয়ে রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার নির্বাহী অফিসার আতিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান - আমরা মেসার্স মুন এন্টারপ্রাইজকে বাংলা ১৪৩১ সালে বালু মহলের পূর্ণাঙ্গ জায়গা বুঝিয়ে দিয়েছি। কিন্তু তারপরও যদি পুরাতন ইজারাদার নতুন ইজারাদার এর জায়গায় বালু উত্তোলন করেন তবে তা আইনের পরিপন্থি। তবে এখন পর্যন্ত আমরা নতুন ইজারাদার ‘মেসার্স মুন এন্টারপ্রাইজ’ এর পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অন্যদিকে রাজশাহী গোদাগাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মতিনের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান - বালু মহাল নিয়ে যে কোন উত্তেজনা ছড়ালে সেক্ষেত্রে কাউকে কোন ছাড় দেয়া হবেনা। কেননা আমরা চাই বালু মহালকে কেন্দ্র করে এলাকায় যেন আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত না হয়। এ ক্ষেত্রে যে পক্ষই হোক যদি আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় তবে অবশ্যই আমরা তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।
অনুসন্ধানে আরোও জানা যায়, এ বিষয়ে ইজারা পাওয়া নতুন প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স মুন এন্টারপ্রাইজ’ মৌখিক অভিযোগ দিয়েও কোথাও কোন সুরাহা পাচ্ছেনা। তবে প্রশ্ন উঠেছে, রাজশাহী জেলা প্রশাসন প্রতি বছর ডাকের মাধ্যমে ইজারা দিয়ে থাকেন নতুন ইজাদারদের কিন্তু এ বছর নতুন ইজারা দেয়ার পরও পুরাতন ইজারাদার কিভাবে নতুন ইজারাদারের জায়গায় পাইপ দিয়ে বালু উত্তোলন করে চলেছেন সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।
সার্বিক বিষয়ে মেসার্স মুন এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধীকারী মুখলেসুর রহমান মুকুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান - আমি রাজশাহী জেলা প্রশাসনের কাছে থেকে সকল প্রকার নিয়মনীতি মেনে ইজারা নিয়েছি।কিন্তু তারপরেও আমার ইজারাকৃত জায়গা কেউ যদি পাইপ লাইন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে আমার নামেই বিভিন্ন প্রপাগন্ডা ছড়ায় সেক্ষেত্রে আমি স্থানীয় সরকারের কাছে আবেদন করছি সকল প্রকার অভিযোগগুলোর সঠিক তদন্ত করা হোক তবেই প্রকৃত সত্যটুকু বের হয়ে আসবে।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com