এ ছাড়া অজ্ঞাত চার থেকে পাঁচ পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়। তাঁদের মধ্যে সাবেক পুলিশ কমিশনার মো. শামসুদ্দিন ২০২০ সালের শেষের দিকে অবসরে গেছেন। অন্যদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোসাব্বিরুল ইসলাম বলেন, আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। এরপর পর্যালোচনা করে একটা আদেশ দেবেন। এখনো মামলা আমলে নেওয়া বা আদেশ দেওয়া সম্পর্কে আদালত কিছু বলেননি। মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি মর্জিনা রহমানের স্বামী আইনুর রহমান ওরফে মুক্তার বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায় ২৭ জানুয়ারি আইনুর রহমানকে উপশহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। সেদিনই তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
কারা কর্তৃপক্ষ গুরুতর আহত আইনুর রহমানকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ সদস্যরা স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করলেও দাফন না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা পাহারায় ছিলেন।
বাদীর আইনজীবী মাইনুল আহসান উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে বলেন, বাদীর স্বামীর বিরুদ্ধে একটি রাজনৈতিক মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় গ্রেপ্তারের পর তাঁকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করছেন। এ জন্য হেফাজতে মৃত্যুর আইনে তিনি (বাদী) আদালতে মামলার আবেদন করেছেন।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com