fake_us_agreement_app
এবার ইউএস অ্যাগ্রিমেন্ট অ্যাপের বিরুদ্ধে রাজশাহীতে প্রতারিতদের মানববন্ধন

এবার ইউএস অ্যাগ্রিমেন্ট অ্যাপের বিরুদ্ধে রাজশাহীতে মানববন্ধন

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

ষ্টাফ রিপোর্টার | উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন || ইউএস অ্যাগ্রিমেন্ট অ্যাপে বিনিয়োগ করে রাজশাহীর প্রতারিত ব্যক্তিরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত রাজশাহী মহানগরীর কাদিরগঞ্জে এ কর্মসূচি পালিত হয়। 

 

 

ইউএস অ্যাগ্রিমেন্ট অ্যাপে প্রতারিত প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। তারা বিনিয়োগ করা টাকা ফেরত পেতে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন। একইসঙ্গে দ্রুত প্রতারকদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। ভুক্তভোগীরা বলছেন, ইউএস অ্যাগ্রিমেন্টের মাধ্যমে ফরেক্স মার্কেটে বিনিয়োগের নামে তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ জন্য তাদের এক লাখ টাকার বিপরীতে প্রতিমাসে রেমিটেন্স আকারে ১১ হাজার ২০০ টাকা করে মুনাফা দেওয়ার প্রলোভন দেওয়া হয়েছিল। বিদেশী অ্যাপের কথা বলে বিনিয়োগ করানো হলেও বাস্তবে এটি দেশীয় প্রতারকচক্রের একটি অ্যাপ।

 

এই অ্যাপে রাজশাহীর প্রায় শতাধিক ব্যক্তি অন্তত ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন। সারাদেশে বিনিয়োগকারী প্রায় দুই হাজার জন। আর প্রতারকদের হাতিয়ে নেওয়া টাকার পরিমাণ প্রায় ২০০ কোটি। এই প্রতারণার ঘটনায় রাজশাহীতে সম্প্রতি দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। এরপর আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ইমিগ্রেশন বিভাগে চিঠি দিয়েছে পুলিশ।

 

ভুক্তভোগীদের দেওয়া তথ্যমতে, ঢাকায় থিতু হওয়া নোয়াখালীর মাইজদির প্রতারক সজীব কুমার ভৌমিক ওরফে মাহাদি হাসান (৩৩) এই প্রতারকচক্রের হোতা। তার সঙ্গে কান্ট্রি লিডার হিসেবে ছিলেন মোতালেব হোসেন ভুঁইয়া (৩৫)। কান্ট্রি ডিরেক্টর ছিলেন ফারুক হোসাইন সুজন। এছাড়া রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান হিসেবে ছিলেন মো. ওয়াহেদুজ্জামান সোহাগ (৩৮), বিভাগীয় ব্যবস্থাপক হিসেবে ছিলেন সোহাগের স্ত্রী ফাতেমা তুজ জহুরা ওরফে মিলি (৩২) এবং জেলা এজেন্ট হিসেবে ছিলেন মিঠুন মন্ডল (৩৬)। তারা সবাই পলাতক।

 

 

উক্ত মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা জানান, টাকা উদ্ধারে তাদের পক্ষ থেকে রাজশাহীর রাজপাড়াগোদাগাড়ী থানায় দুটি মামলা করা হয়েছে। এই মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিয়েছেন ওহেদুজ্জামান সোহাগের স্ত্রী ফাতেমা তুজ জহুরা মিলি। এরপর হুমকি-ধামকি দেওয়ার অভিযোগে মিলি উল্টো বাদী হয়ে ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেছেন। তারা হয়রানিমূলক এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। পাশাপাশি তাদের মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। তাদের মামলার আসামিদের মধ্যে মিলি ছাড়া সবাই পলাতক।

 

 

রাজশাহী গোদাগাড়ী থানার মামলাটি তদন্ত করছেন উপপরিদর্শক (এসআই) শিহাব উদ্দিন। তিনি জানান, মামলার এক আসামি জামিন নিয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন। অন্য আসামিদের নাম-ঠিকানা যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় কাগজ পাঠানো হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের জন্যও অনুরোধ জানানো হয়েছে। অবস্থান শনাক্ত করামাত্র তাদের গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান তিনি।


উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.