drugs-mafia-rajshahi-city
রাজশাহী মতিহার অঞ্চলের মাদক মাফিয়ারা আবার সক্রিয় 

রাজশাহী মতিহার অঞ্চলের মাদক মাফিয়ারা আবার সক্রিয় 

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

গোলাম মির্জা,উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: বাংলাদেশের  সীমান্তবর্তী জেলা রাজশাহী। পদ্মাপাড়ের এই এলাকা ভারতের মুর্শিদাবাদের লালগোলার সঙ্গে লাগোয়া। পুলিশের নথি থেকে জানা যায়, রাজশাহীর বিভিন্ন  চরাঞ্চল দিয়েই ভারত থেকে সবচেয়ে বেশি ঢোকে হেরোইন ও ফেসিডিল।  রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন থানায় গিয়ে জানা গেল, গত ছয় মাসে সবচেয়ে বেশি মামলাও হয়েছে হেরোইন কারবারিদের বিরুদ্ধে এবং তারপরের স্থান দখন করেছে চরাঞ্চলে তৈরী ইয়াবা এবং পরিশেষে গাঁজা ও ফেন্সিডিল । অবশ্য যেসব মাদকের চালান পুলিশ ধরতে পারে না, সেগুলো মাদক মাফিয়ারা ছড়িয়ে দেন সারাদেশে। আর সেই সাথে স্থানীয় কিশোর-তরুণরা প্রাণঘাতী বিভিন্ন মাদকে আসক্ত হচ্ছে।

 

 

সরেজমিন অনুসন্ধানে রাজশাহীর মতিহার থানায়  চলতি বছরের মাদক মামলা বিষয়ক তথ্য নিতে গিয়ে দেখা মিলল এক বাবার। তার নাম শরিফ। তিনি তার ছেলেকে বেঁধে থানায় নিয়ে এসেছেন। খুঁজছেন ওসির কক্ষ। জানতে চাইলে বলেন, তার ছেলে গাঁজা ও ইয়াবায় আসক্ত। প্রতিদিন ঘর থেকে টাকা ও জিনিসপত্র চুরি করে। মাকে ধরে মারে। কারও কথা শোনে না। তাই জেলে দিতে এসেছেন থানায়। এতে যদি ভালো হয়। শরীফ জানালেন, আর কোনো উপায় না পেয়েই থানায় সোপর্দ করার পথ বেছে নিয়েছেন। মাদক কোথায় পায়, জানতে চাইলে শরীফ বলেন, মতিহার এলাকায় হাত বাড়ালেই মাদক পাওয়া যায়।

 

 

 

এদিকে বিগত ১ বছরে  মাদকের আগ্রাসন কমেছে রাজশাহী মহানগরীতে। অবশ্য এসব কিছুরই অবদান রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মানবিক পুলিশ কমিশনার জনাব আবু কালাম সিদ্দিকের। আরেক সমীক্ষায় দেখা যায়, রাজশাহী মহানগর ডিবিও অলসতা কাটিয়ে অনেকটাই তৎপর হয়েছে। যার ফলে গেল মাসে ডিবি বেশ কিছু মাদকের বিরুদ্ধে সফল অভিযান সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া, কাশিয়াডাঙ্গা ও দামকুড়া থানা এলাকাতেও মাদক উদ্ধারে ব্যাপক অগ্রসর ভূমিকা পালন করে আসছে থানাগুলো।

 

 

তবে মাদক অধ্যুষিত এলাকার মধ্যে মতিহার ও কাশিয়াডাঙ্গা থানা এলাকায় মাদকের আগাসন ৭০ ভাগ কমে এসেছে। যা রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে এনেছে নিঃসন্দেহে। অন্যভাবে বলতে গেলে প্রশংসার দাবীদারও বটে।

 

কিন্তু এরই মধ্যে নব্য কিছু মাদক মাফিয়ারা মতুন করে তৈরী করেছে ভ্রাম্যমান মাদক বিক্রেতা । এর মধ্যে রাজশাহী মতিহার থানা এলাকার ক্রস ফায়ারে নিহত আলোর প্রধান সহযোগী আক্কাস আলীর গ্রপ আবারোও সক্রিয় হয়েছে বলে গোপন কয়েকটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। আর সেই গ্রুপে আছে আধা ডজন মাদক মাফিয়া।

 

 

 

 

রাজশাহী মতিহার এলাকাধীন চরের মাদক মাফিয়া যারা 

➡️ গডফাদার আক্কাস আলী, পিতা- মৃত ইমরান আলী (১৭ টি মাদক মামলা)

➡️ মাদক কারবারী শহিদুল ইসলাম পিতা- মো সাজু (৭টি মামলা)

➡️ মাদক কারবারী নবাব আলী পিতা- মৃত ইমাজ উদ্দিন ( ৮টি মামলা)

➡️ মাদক কারবারী রবিউল ইসলাম, পিতা মৃত ইমরান (৫ টি মাদক মামলা)

➡️ মাদক কারবারী বেলাল পিতা- মৃত দুলাল ( ৩টি মাদক মামলা)

➡️ মাদক কারবারী মানিক, পিতা শুকুর আলী ( ৪টি মাদক মামলা ও পুলিশকে হত্যার চেস্টা )

➡️ মাদক কারবারী আল আমিন, পিতা আসরাফ আলী! ( টি মাদক মামলা)

➡️ মাদক কারবারী  সম্রাট আলী, পিতা- জিন্নাত আলী। ( টি মাদক মামলা)

➡️ মাদক কারবারী জামাল  (খানপুরের গডফাদার) ( টি মাদক মামলা)

 

 

 

 

drugs-mafia-rajshahi-city2
মাদক ব্যবসায়ী

রাজশাহী মতিহার থানাধীন শ্যামপুর, মিজানের মোড় ও জাহাজঘাট এলাকার মাদক মাফিয়া যারা 

 

🟥 মাদক মাফিয়াদের অন্যতম নেতা মনিরুল। যিনি সাবেক কাটাখালীর পৌর মেয়র আব্বাসের সেকেন্ড ইন কমান্ড (১০ টি মাদক ও ২ টি অস্ত্র মামলা)।

🟥 মাদক ব্যবসায়ী আসলাম (মনিরুলের ভাই) ৫ টি মাদক মামলা ১টি অস্ত্র মামলা।

🟥 মাদক ব্যবসায়ী : খাদিমুল ইসলাম পালা, পিতা: মৃত মুক্তার আলী ( ১টি অস্ত্র ৪ টি মাদক মামলা)

🟥 মাদক ব্যবসায়ী : জাকা (৮টি মাদক মামলা)

🟥 মাদক ব্যবসায়ী : মিলন (৬টি মাদক মামলা)

🟥 হেরোইন ব্যবসায়ী কাদো( মহিলা) (৮টি মামলা)

🟥 মাদক ব্যবসায়ী : সাবদুল, (৪টি মামলা)

🟥 মাদক ব্যবসায়ী : মালেক, তার স্ত্রী হানুফা ও তার ছেলে হাবিল (৬ টি মামলা )

🟥 মাদক কারবারী পিন্টু  ৪টি মামলা ও টিটু ( ৭টি মামলা) (মহব্বতের ঘাট এলাকা) উভয়ের পিতা জিল্লু রহমান।

🟥 মাদক ব্যবসায়ী কামরুল ( ৫টি মাদক মামলা )

🟥 মাদক কারবারী সুজন ( টি মাদক মামলা)

 

 

 

তবে সম্প্রতি রাজশাহী মহানগরীতে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান তুরান্বিত করার লক্ষ্যে  রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক যে সকল পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন তা নি:সন্দেহে প্রসংশার দাবিদার।শুধু তাই নয় বরং মাদকের বিরুদ্ধে কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে জনসচেতনতা তৈরীপূর্বক মাদকের আগ্রাসন স্থবির করতেও অসামান্য অবদান রেখেছে এই মানবিক কমিশনার। তবে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অন্যত্তম সংযোজন সাইবার ইউনিট গঠন  আরএমপি কমিশনারের সংযোজন নজির স্থাপন করেন এই পুলিশ কমিশনার।

 

এদিকে রাজশাহী মতিহার থানা এলাকার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ  এহেন কাজের বিরুদ্ধে  রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিকের জোর নজরদারী ও হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। নতুবা পুলিশের গঠনমূলক কাজে  মাদক মাফিয়ারা এক সময় বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন সংশ্লীষ্ট সচেতন মহল।


Shortlink :https:\/\/preview-xupnewsc.uttorbongoprotidin.com//preview-xupnewsc.uttorbongoprotidin.com//wp.me/pbH2Ba-pgZ


উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.