danger_come_when _mango_and_watermelons_in_ fridge
ফ্রিজে আম ও তরমুজ রাখার পর যে বিপদ ডেকে আনছেন

ফ্রিজে আম ও তরমুজ রাখার পর যে বিপদ ডেকে আনছেন

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: বছরের গ্রীষ্ম এলেই ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণ করার প্রয়োজন বেশি হয় সকলের। আম এবং তরমুজ গরমকালে বেশি খাওয়া হয় বলেই ফ্রিজে রেখে দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষণ করা হয়।

 

 

তবে এই ঋতুতে কি প্রতিটি খাবার ফ্রিজে রাখা যায় ? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফ্রিজে কিছু জিনিস রাখলে শুধু স্বাদই বদলে যায় না, তা আমাদের শরীরেরও নানাভাবে ক্ষতি করে।

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, এই দুটি ফলই ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। শুনতে অবাক লাগলেও, এটাই সত্যি। জানুন, কেন এই ফলগুলি ফ্রিজে রাখা উচিত নয় এবং এটি স্বাস্থ্যের কী কী ক্ষতি করতে পারে।

 

ডায়েটিশিয়ন অ্যালেক্স পার্কার জানান যে, আম এবং তরমুজের মতো ফলগুলি গরমে ফ্রিজের বাইরে রাখা উচিত, কারণ কম তাপমাত্রায় সেগুলি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি। আম ও তরমুজ কাটার পর ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, তরমুজ ইথিলিনের প্রতি বিশেষভাবে সংবেদনশীল। এটি একটি হরমোন যা, ফল এবং শাকসবজি পাকলে নির্গত হয়। এই হরমোন অন্যান্য ফল এবং সবজির গুণমানকেও প্রভাবিত করতে পারে। তাই রান্নাঘরেও অন্যান্য খাবার থেকে এই জিনিসগুলিকে দূরে রাখতে হবে।

 

ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ)-র একটি রিপোর্ট অনুসারে, তরমুজ, ক্যান্টালুপ বা আমের মতো ফল ঘরের তাপমাত্রায় রাখা একটি ভাল বিকল্প। এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের জন্য এটি ভাল যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ফলের  রং ও স্বাদ- গ্রীষ্মকালে বাজার থেকে আম ও তরমুজ কিনে, ধুয়ে তারপর সরাসরি ফ্রিজে রাখে অনেকেই। এতে ফলের স্বাদ নষ্ট হয়। তাই এই ফলগুলি কিছুক্ষণ ফ্রিজে রাখতে চাইলে, কেটে রাখবেন না। নয়তো ‘চিল ইনজ্যুরি’ হতে পারে, যা ফলের রং এবং স্বাদ উভয়ই পরিবর্তন করে।

 

আমের উপকারিতা – আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা রক্তনালী ও স্বাস্থ্যকর কোলাজেনের বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত। ভিটামিন সি শরীরের ক্ষত দ্রুত সারাতে সাহায্য করে। এছাড়া আম আমাদের শরীরকে অনেক বড় রোগ থেকেও রক্ষা করতে পারে। আমের হলুদ ও কমলা অংশে বিটা ক্যারোটিন পাওয়া যায়। আমে পাওয়া অনেক অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মধ্যে বিটা ক্যারোটিন অন্যতম। আমে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরে ফ্রি র‌্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে, যা ক্যান্সারের বৃদ্ধির জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়।

 

তরমুজের উপকারিতা– তরমুজে উপস্থিত লাইকোপিন এবং অন্যান্য অনেক উদ্ভিদ যৌগ রয়েছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণাবলী রয়েছে। লাইকোপিন শরীরকে অনেক ধরনের ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে। লাইকোপিন এবং পাচনতন্ত্রের ক্যান্সারের মধ্যে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক লক্ষ্য করা গেছে। এতে ভিটামিন সি-র মতো অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি অক্সিডেন্টও পাওয়া যায়। 

 


উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.