এলাকাবাসীর বরাতে জানা যায়, গত ৬ জুলাই মধ্যরাতে বেড়ার ঘর কেটে একটি সাইকেল, ৭ জুলাই রাত সাড়ে ৩টার দিকে পরিবারের সদস্যদের আটকে রেখে অটোরিকশার ৪টি ব্যাটারি এবং ৮ জুলাই তালা কেটে দেড় লক্ষাধিক টাকার ৭ মাসের গর্ভবতী গাভী চুরি হয়েছে একটি গ্রামেই। এই চোর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে আশেপাশের এলাকাতেও। প্রশাসনের আন্তরিক দৃষ্টি কামনার পাশাপাশি এখন রাত কাটছে জেগে থেকেই। সর্বশেষ ৮ জানুয়ারি গরু চুরির ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী। তবে বাকি দুইটি ঘটনা জানা নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে আরোও জানা গেছে, মুরারীপুর এলাকার আব্দুল হাকিমের বাসার তালা কেটে গরুটি চুরি করা হয়েছে। এ ঘটনার দেড় বছর আগে একই জায়গা থেকে একটি গাভী ও একটি ষাঁড় চুরি হয়েছিলো। যার আনুমানিক মূল্য ছিলো ৩ লাখ টাকা। সে ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চোরকে আটক করতে পারলেও গাভী ও ষাঁড় আজও ফিরিয়ে দিতে পারেনি। চুরি থেকে বেঁচে যাওয়া ছোট্ট বাছুরটি ছিলো তাদের শেষ সম্বল। দেড় বছর ধরে পোষার পর সেই গাভীটিকেও নিয়ে গেলো চোর। এতে আহাজারিতে ফেটে পড়ে ভুক্তভোগী পরিবার।
অটোরিকশার ব্যাটারি চুরি যাওয়া ভুক্তভোগী মো. ইয়াসিন আলী উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে জানান, গত বছর আমার চাচাত ভাই আব্দুল হাকিমের গরু চুরির কিছুদিন পর আমার বাবার অটোরিকশার ব্যাটারি চুরি হয়েছিলো। এবার আমাদের গাড়ির ব্যাটারি চুরি হওয়ার পরের দিন ভাইয়ের গরু চুরি হলো। ঋণের টাকা তুলে গত মাসেই ব্যাটারি কিনে লাগিয়ে ছিলাম। সে ব্যাটারি চোর নিয়ে গেলো। এখন তো চোখে আর ঘুম নেই। বাড়িতে ছোট্ট একটা গরু আছে, সেটাও যদি চোর নিয়ে যায় এ ভয়েই রাতে ঘুমাতে পারছি না।
এই গ্রামের বাসিন্দা খোরশেদ জানান, রাতে কীভাবে ঘুমাই। এতো সিকিউরিটি রাখার পরও চুরি হয়ে যাচ্ছে। চোররা অস্ত্র নিয়ে আসছে। একারণে ভয়-আতঙ্ক দুটো নিয়েই রাতের অধিকাংশ সময় নির্ঘুম কাটছে।
এদিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের দামকুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাইনুল বাশার বলেন, গরু চুরির ঘটনায় মামলা হয়েছে। দেড় বছর আগেও চুরির ঘটনায় চোরকে নাকি ধরা হয়েছিলো। ভুক্তভোগীদের ধারণা ওই আবার চুরি করতে পারে। এজন্য তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ওই চোরকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। আর ব্যাটারি ও সাইকেল চুরির বিষয়টি জানা নেই।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com