হাবিব, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: একটি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের জন্য মেয়র প্রার্থী বাছাইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ হলো ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাছাই। যারা ওয়ার্ড পর্যায়ে নাগরিকদের খুব কাছাকাছি অবস্থান করেন। স্থানীয় ওয়ার্ডবাসীদের সমর্থনে যারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধির আসনে বসেন এবং ক্ষমতায়িত হন। এই ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের শিক্ষা, জ্ঞান, মেধা, দৃষ্টিভঙ্গি, নাগরিক মূল্যবোধ, অভিজ্ঞতা, স্বদেশপ্রেম, স্থানীয় জনগণের কাছে ইতিবাচক গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হয় এবং সর্বোপরি চিন্তা চেতনায় সংবিধানসম্মত হতে হয়।
কিন্তু বাস্তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের এসব কিছুই থাকে না, শুধু একটা রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়া। বরং যিনি এলাকায় মাস্তানি করে বেড়িয়েছেন, পেশির দাপট দেখিয়েছেন, দলের মিছিল-মিটিংয়ে টাকা দিয়ে লোক জমায়েত করেছেন, ফায়দা লুটেছেন, অর্থবান হয়েছেন, প্রচার মাধ্যমে সংবাদ হয়েছেন, এমন অধিকাংশকেই ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে অতীতে। কিন্তু এখনকার চিত্র পুরোটাই বিপরীত। এরপরেও ❝ সর্ষের মধ্যে ভূত থাকবেই ❞ তবে সম্প্রতি রাজশাহীতে বেশ কজন কাউন্সিলরের আকাশচুম্বী ধনসম্পদের তথ্য ফাঁস হয়েছে বৈকি। কিন্তু ব্যাতিক্রম বলে একটি কথা থেকেই যায়।
মানবিক জনপ্রতিনিধি হিসেবে ২০১৪ সাল থেকে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনার। রাসিকের ১৪ নং এলাকাবাসী উন্নয়নে প্রতিদিনই কোনো না কোনো কর্মসূচি নিয়ে তিনি হাজির হচ্ছেন। প্রতিবারই ভিন্ন আঙ্গিকে ভিন্ন কৌশলে জনসেবা করে যাচ্ছেন এই কাউন্সিলর আনার। এই সেবা যেন ক্লান্তিহীন । কখনও অসহায় শিশুদের পাশে, কখনও প্রতিবন্ধীদের পাশে আবার কখনও নও মুসলিমদের পাশে এভাবে একের পর এক সামাজিক কর্মকান্ড করেই যাচ্ছেন তিনি। মানুষের সেবা করাই যেন তার নেশা পেশা হিসেবে পরিণত হয়েছে । বিশেষ করে পারিবারিক কিংবা সামাজিক কলহকে কেন্দ্র করে তার নহুমূখী সামাজিক কর্মকান্ড সাধারণ মানুষের নজর কেড়েছে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের অন্য সকল কাউন্সিলরের চেয়ে তিনি মানবিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে এগিয়ে রেখেছেন এ বিষয়ে বিন্দু সন্দেহ নেই। এই তো গেল করোনাকালে নিজের ওয়ার্ড ব্যাতীত অন্য ওয়ার্ডের ভোটারদেরও ত্রান কিংবা আর্থিক সহযোগিতা করতে পিছুপা হননি তিনি।
এদিকে রাজশাহী উপশহর এলাকার ১ নং সেক্টরের ষাটোর্ধ আতিকুর রহমান রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনার সম্পর্কে বলেন - একজন দ্বায়িত্ববান কাউন্সিলর কেমন হয় তার অন্যতম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আনার। তরুন প্রজন্মের এই কাউন্সিলরের কাছ থেকে অন্যন্য সকল কাউন্সিলেরর শেখার আছে অনেক কিছু। তাই আনারই ১৪ নং ওয়ার্ডের জন্য যথাযোগ্য ব্যাক্তি।
রাজশাহী মহানগরীর তেরখাদিয়া এলাকার আলেয়া বিবি নামের ৭০ বছর বয়স্কা বৃদ্ধা বলেন - আমার ভাতা আরেকজন নিয়ে চলে যেত সাবেক কাউন্সিলর টুটুলের সময়ে। পরে আনার আসার পর কাউন্সিলর অফিসে আমাকে ডেকেই ভাতা দেয়া হয়।
রাজশাহী মহানগরীর উপশহর ২নং সেক্টরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাকিব হাসান বলেন - উপশহরে আগে অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে যেত। কিন্তু আনার আসার পর ড্রেনেজ প্রকল্পের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। সেই সাথে উপশহরের মত আবাসিক এলাকার রাস্তাগুলো চওড়া ও প্রশস্ত হয়েছে বিধায় এখন ২/৩ টি ড্রেন ব্যাতীত উপশহরে আর কোন জলাবদ্ধতা নেই। নি:সন্দেহে এটি কাউন্সিলের উদ্যোগের কারনেই এমনটা সম্ভব হয়েছে।
কথায় আছে ব্যবহার নাকি বংশের পরিচয়। তদ্রুপ আমরা যদি আনারের বিগত দিনের বিষয়গুলো সমন্বয় করি তবে দেখা যায়, পারিবারিকভাবে অভিজাত পরিবারের সন্তান হওয়ার সুবাধে তার মধ্যে মানবিকতা, শিষ্টাচারিতা কিংবা শ্রদ্ধাবোধের বিন্দুমাত্র অভাব নেই। তবে বলাই বাহুল্য বংশীয় ঘরের সন্তান হওয়ায় তার মধ্যে কাউন্সিলর হওয়ার আগে থেকে পরোপকারীতা অনেক বেশী বিদ্যমান। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, জিরো থেকে কাউন্সিলর হয়ে রাতারাতি হিরো হয়ে আঙুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছেন। আবার কোন কোন কাউন্সিলর তো নিজেকে রাসিক মেয়রের সমতূল্য বলেও বুলি আওড়ান। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভালো ঘরের কিংবা শিক্ষিত পরিবারের সন্তান সন্ততিরা জনসেবা মূলক কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখেন।
এদিকে উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনার জানান - ২০১৮ সালের নির্বাচনী প্রতিশ্রতি অনুযায়ী আমি সাধ্যমতো সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছি গত নির্বাচনে ১৪ নং ওয়ার্ডে মোট ভোটার ছিল ১৪ হাজার ১৬ জন বর্তমান নতুন ভোটার সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে আমি প্রতিটি মহল্লা ঘুরে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সকলের দোয়া, সহযোগিতা ও ভোট চাচ্ছি। সবর্দা সুখে-দুখে তার ওয়ার্ডবাসীর পাশে ছিলাম আছি এবং থাকবো। নির্বাচনী মাঠে আমার ফিল্ড ভালো আছে। এখন পর্যন্ত জনগনের সার্পোটও ভালো আছে। বিশেষ করে নারী ও যুবকরা আমার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে।। সুতরাং আমি আশাবাদী জনগনের ভোটে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে আবারোও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার সুযোগ পাবো। বিশেষ করে আধনিক রাজশাহীর রূপকার নগর পিতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের হাতকে আরো শক্তিশালী করে এই ১৪ নং ওয়াার্ড তথা রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সার্বিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে চাই।
অবশ্য রাসিকের ১৪নং ওয়ার্ডের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের দোয়া,আর্শীবাদ,ভালোবাসায় ও পূর্ণ সমর্থনে বয়োজ্যেষ্ঠ মুরব্বীদের সঙ্গে নিয়ে পূণরায় কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন-
মানবিক খ্যাত কাউন্সিলর আনার।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com