কাজ না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই পিডির শার্টের কলার চেপে ধরেন তাঁর সঙ্গে থাকা আরেক ঠিকাদার। অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শামসুল হোদার সামনে তাঁর কক্ষেই এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী প্রকৌশলী সুমন্ত কুমার বসাক বিএমডিএর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী। তিনি ভূ–উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে নাটোর জেলায় সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্পের পরিচালক। বিএমডিএর এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও নানা অনিয়ম–দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। তিনি ঠিকাদারদের কাছ থেকে ‘পার্সেন্টেজ’ নেন বলেও অভিযোগ আছে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ৫০টি কাজের দরপত্র আহ্বান করেন পিডি সুমন্ত কুমার বসাক। প্রতিটি কাজই ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার। এই কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি ঠিকাদারদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নেন। কিন্তু রাজশাহীর একজন ঠিকাদারকেও কাজ দেননি। কাজ দেওয়া হয়েছে নাটোর, নওগাঁ ও ঈশ্বরদীর ঠিকাদারদের।
উক্ত বিষয়টি জানাজানি হলে ঠিকাদারদের ভয়ে প্রায় ১০ দিন অফিসেই আসেননি সুমন্ত কুমার বসাক। অবশেষে রোববার অফিসে আসেন। খবর পেয়ে ঠিকাদারেরাও বরেন্দ্র ভবনে যান। তখন সুমন্ত কুমার বসাক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শামসুল হোদার কক্ষে ঠিকাদারদের নিয়ে বসেন। সেখানে ঠিকাদার সাকির হোসেন ওরফে লস্কর বাবু প্রকৌশলী সুমন্ত কুমার বসাককে রীতিমতো ধমকাতে শুরু করেন। তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে পাশে বসে থাকা স্থানীয় ঠিকাদার মো. রাসেল প্রকৌশলী সুমন্ত কুমারের শার্টের কলার চেপে ধরেন। এ নিয়ে তুমুল হট্টগোল শুরু হয়। একপর্যায়ে ঠিকাদারদের শান্ত করে বের করে দেওয়া হয়।
বিএমডিএর ঠিকাদার রাজশাহী মহানগর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাকির হোসেন ওরফে লস্কর বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে ঘটনা সম্পর্কে বলেন, ‘মারামারি বা লাঞ্ছিত করার মতো কোনো ঘটনা না। একটু উচ্চবাচ্য হয়েছে। পিডি রাজশাহীর ঠিকাদারদের কোনো কাজ দেননি। সব কাজ দিয়েছেন বাইরের ঠিকাদারদের। ফলে স্থানীয় ঠিকাদারদের মধ্যে হতাশা আছে। এর জের ধরেই ঘটনাটা ঘটেছে। তবে ঘটনাটা খুব বেশি বড় নয়।’ পরে এর সমাধান হয়ে গেছে বলে দাবি তাঁর।
কথা বলার জন্য পিডি সুমন্ত কুমার বসাককে একাধিকবার ফোন কল করা হয়। কিন্তু তিনি বারবারই কেটে দিয়েছেন। বিএমডিএর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শামসুল হোদা বলেন, ‘আমি যেহেতু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তাই আমার রুমেই সবাই বসেছিলেন। তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে হঠাৎ রাসেল পিডির শার্টের কলার চেপে ধরেন। বিষয়টা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশিদ উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের প্রতিবেদককে জানান, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বিষয়টা আমাকে জানিয়েছেন। আমি ঢাকায় আছি। আগামীকাল (সোমবার) ফিরব। এরপর চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলাপ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com