অনুসন্ধানে নাম প্রকাশ না করার শর্তে গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র থেকে জানা যায়, দেশের স্বর্ণের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতের স্বর্ণালঙ্কারের চাহিদা মেটাতে সোনার বার দুবাই, কাতার, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে আনা হয়। এসব ❝সোনার বার❞ পরে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্থল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করা হয়।চোরাচালান চক্রগুলোর মধ্যে আমাদের দেশে অবস্থান করা চক্রগুলো সরাসরি জড়িত থেকে হেরোইনে মত মাদক ও গরু আনছেন সোনার বারের বিনিময়ে।
এদিকে খোঁদ রাজশাহী শহরে এই সকল ব্যবসা করে অনেকেই বনে গেছেন কোটিপতি। অনুসন্ধানে উঠে আসে আরোও ভয়ংকর তথ্য।যারা এসকল ব্যবসায় কোটিপতি বনে গেছেন তারা লিগ্যাল বিজনেস হিসেবে কেউ কেউ ডেইরী ফার্ম, রিয়েল এষ্টেট, গার্মেন্টস কিংবা ঠিকাদারির সাথে সম্পৃক্ত হোন কালো টাকা সাদা করতে। আর এসকল কোটিপতি কিন্তু মাত্র কয়েক বছর আগেও হাটে বাজারে ফেরী কিংবা ভ্রাম্যমাণ ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত ছিলো। তবে এক তথ্য মতে এদের অধিকাংশদের বাড়ি রাজশাহী সীমান্তবর্তী চর এলাকায়।
এদিকে খোঁদ রাজশাহী শহরে এমনই একজনের সন্ধান মিলেছে যিনি ১ দশকে ১০০ কোটি টাকার মালিক হয়েছে মাত্র ৫ বছরে। তার নাম রাজশাহী কোর্ট এলাকার ‘ছোট মিঠু’ ওরফে ‘জিরা মিঠু’। তার বাবার নাম দাউদ রাজাকার। অবশ্য দাউদ রাজাকারের ১ম স্ত্রীর ছেলে ছোট মিঠু। আর এই দাউদ রাজাকারের দেশের বাড়ি রাজশাহী মেট্রোপলিটন এলাকার দামকুড়া থানার অন্তর্গত চর মাজারদিয়াড়ে। অবশ্য চর মাজারদিয়াড়ে দাউদ রাজাকারকে চেনেননা এমন মানুষ মেলা ভার। দাউদ রাজাকারের স্ত্রীর সঠিক সংখ্যা না পাওয়া গেলেও এলাকাবাসীর মতে তিনি ৩টি বিবাহ করেছেন।
🔻ছোট মিঠু যেভাবে মাফিয়া সদস্য
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন ও বেশ কয়েকবার জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিকরা সরেজমিন অনুসন্ধানে রাজশাহী চর মাজারদিয়াড় এলাকায় গেলে এলাকাবাসীর মধ্যে সাবেক এক কলেজের অধ্যক্ষ সাংবাদিকদের বলেন - ৭/৮ বছর আগেও রাস্তায় ফেরী করে বিভিন প্রসাধনী, কাপড় কিংবা স্যান্ডেল বিক্রি করতেন মিঠু। কিন্তু এখন তিনি কোটিপতি। শুনেছি রাজশাহী শহরে ৫ টি বহুতল ভবন গড়েছেন। মাসে বা বছরে ১/২ বার বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ান। জানিনা - তিনি রাতারাতি কোন ‘আলাউদ্দিনের চেরাগ’ পেয়েছেন কিনা।
চর মাজারদিয়াড়ের স্কুলপাড়া এলাকার ৮০ বছরের বৃদ্ধ আইনাল বলেন - ‘ছোট মিঠু’ ওরফে ‘জিরা মিঠুর’ আমাদের এলাকায় মুদির ছোট্ট একটা দোকান ছিল। এরপর দোকানটা বন্ধ করে দিয়ে এরপর নৌকা কিনে মাঝি হয়। নদী পারাপারের জন্য বেশীরভাগ সময় নদীতে থাকত আর বিজিবির সোর্স হিসেবেও কিছুদিন কাজ করেছে এখন শুনছি রাজশাহী শহরে বাড়ি আর জমি বিক্রির ব্যবসা করে এখন নাকি অনেক বড় লোক।
জব্বার স্কুল মার্কেটের ব্যবসায়ী আলাল উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে জানান - মিঠু এখন অনেক বড় লোক দেশে বিদেশে অনেক ব্যবসা আছে তার।আগে আমাদের এলাকায় মুদির দোকান ছিল। পরে মাঝি হয়ে যাওয়ার পর রাজশাহীতে ভাড়া থাকত।এখন মোল্লাপাড়ায় ৩ তলা বাড়ি আছে তার। শুধু তাই নয় গরুর ফার্ম, মার্কেট ৫ তলা বাড়ি, আর অসংখ্যা জমি কেনা আছে।আমি ঠিকানা দিচ্ছি আপনি সেখানে গেলেই জিরা মিঠু ভাইকে দেখতে পারবেন। আমার খালাত ভাই তার ভাই ভাই গরুর ফার্মে কাজ করত।
চর মাজারদিয়াড় গ্রামের মাসুদ রানা নামের একজন গরু ব্যবসায়ী বলেন - ছোট মিঠু ভাইয়ের সিলেট আর কোলকাতার সাথে ব্যবসা আছে। কিন্তু সেটা গরুর। তার ফার্মও আছে। তবে তার কয়েকজন পার্টনারও আছে এই ব্যবসায়। সিলেটের সাধন ও রাব্বানী, চট্রগ্রামের আমানুল্লাহ আমান, রবিন ও আজিতসহ আরো অনেকে।
তবে উক্ত কারো শোনা কথা নয় বরং আমরা জানতে ও জানাতে চাই রহস্যের পেছনের রহস্যকে। তথ্য উপাত্ত পূনরায় বিশ্লেষনের জন্য সাংবাদিকেরা কথা বলেন - সিলেট ও চট্রগ্রামের জেলা পুলিশ ও মেট্রো পুলিশের সাথে। উপরেল্লেখিত নামগুলো ঠিক আছে কিনা এই বিষয়ে।
📌 পরবর্তী সংখ্যায় বিস্তারিত.....................
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com