রাজশাহী মহানগরীতে দীর্ঘ ৭ মাস থেকে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে রাজপাড়ার চাঁদাবাজী মামলার পলাতক আসামী মাসুদ আলী পুলক।
রাজশাহী মহানগরীতে দীর্ঘ ৭ মাস থেকে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে রাজপাড়ার চাঁদাবাজী মামলার পলাতক আসামী মাসুদ আলী পুলক।

রাজশাহীতে চাঁদাবাজ রঙ মিস্ত্রী যখন বেপরোয়া

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিনিধি,উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন ::
রাজশাহী মহানগরীতে দীর্ঘ ৭ মাস থেকে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে রাজপাড়ার চাঁদাবাজী মামলার পলাতক আসামী মাসুদ আলী পুলক।বোয়ালিয়া মডেল থানাধীন সাগরপাড়া বটতলা এলাকার মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ঠিকাদার জাবেদ আলীকে মারপিট ও চাঁদাবাজী মামলার পলাতক আসামী এই মাসুদ আলী পুলক ।

মামলার ১ ও ৩ নম্বর আসামীদের গ্রেফতার করলেও রহস্যজনক কারনে দুই নম্বর আসামী রাজপাড়া থানাধীন তেরোখাদিয়া নতুন বিলছিমলা এলাকার মৃত মনসুর এর ছেলে মাসুদ আলী ওরফে পুলককে গ্রেপ্তার করছে না রাজপাড়া থানা পুলিশ।

ফলে আসামীদের অব্যহত হুমকি ধামকিতে অসহায় ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মামলার বাদি মুক্তিযোদ্ধা সন্তান জাবেদ আলী। এ বিষয়ে জাবেদ আলী রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধের সন্তান ও ঠিকাদার জাবেদ আলী অভিযোগের বরাত দিয়ে জানান, জাবেদ আলী গত ১৩ ফেব্রুয়ারি তার নিজ পেশা মাটি কাটার কাজে রাজপাড়া থানাধীন মহিলা কমপ্লেক্স এর বিপরীতে নবনির্মিত বিল্ডিং “স্টেট ভিউ কাউনন্ডেশনের” প্রেজেক্ট স্কেভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কাটা শুরু করলে ঐদিন সকাল ৮টার দিকে কাজ শুরু করলে ১। জাহিদ (৪০) পিতা: ভুলু,সাং: নতুন বিলছিমলা ২। পুলক (৩৮) পিতা: মৃত মনসুর, সাং: তেরোখাদিয়া নতুন বিলছিমলা,৩। মো: আল ইমরান(২৭),পিতা: ওয়াদুদ,সাং: বহরমপুর, সর্ব থানা : রাজপাড়াসহ আরো ৮/১০জন মিলে তার ব্যবসার সাইটে এসে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।

এসময় তারা স্কেভেটর মেশিনের ড্রাইভার জামিরুল ইসলাম ও ফারুক হোসেনকে মারধোর করে মেশিন বন্ধ করে দেয়। তখন আমি তেরখাদিয়া কামারুজ্জামান মসজিদে এশার নামাজ পড়ছিলাম। নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় মসজিদের গেটের সামনে আমাকে থামিয়ে তারা ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।

তাদের চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমাকে মসজিদের সামনেই দেশিয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে এলোপাতারি মারধর করে। এ বিষয়ে ১৩ই ফেব্রুয়ারী ২০২১ইং রাত্রীতে রাজপাড়া থানায় মামলা করি যার নম্বর ১৭/৬৬। মামলার পেক্ষীতে এক ও তিন নম্বর আসামীকে রাজপারা থানা পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করলেও মামলার প্রায় সাড়ে ছয়মাস পেরিয়ে গেলেও দুই নম্বর আসামী পুলক (৩৮) পিতা: মৃত মনসুর, সাং: তেরোখাদিয়া নতুন বিলছিমলাকে এখনো আটক করতে পারেনি রাজপারা থানার সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) এসআই মো: রাজিউল রহমান।

বিগত সাড়ে ছয়মাসে প্রায় শতবার এসআই মো: রাজিউল রহমানকে মোবাইল ফোন ও তার সাথে যোগাযোগ করেও আসামী গ্রেফতার করেননি তিনি।

এমনকি আসামী পুলক প্রকাশে ঘুড়ে বেরালেও রাজপাড়া থানার এসআই মো: রাজিউল রহমান তাকে খুজে পাওয়া যায়না বলে হয়রানি করতে থাকে। এই মামলার দুই নম্বর আসামী গ্রেফতার না হওয়া ও গ্রেফতার হওয়া আসামীরা জামিনে বেরিয়ে এসে তারা আবারো বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি ও প্রান নাশের হুমকি দিচ্ছে।

মামলার দুই নম্বর আসামীকে গ্রেফতার ও অন্যদের দ্বারা হুমকির বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগত ব্যাবস্থা গ্রহনে সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন – রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ইউনিট এখন অনেক শক্তিশালী আমরা মোবাইল নাম্বার এবং ফেসবুক ট্র‍্যাকিং প্রযুক্তির মাধ্যমেও আসামীদের সনাক্ত করে থাকি বিধায় কোন অপরাধীর পার পেয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।


উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.