অভিযোগসূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার( ১৬ই নভেম্বর ২০২১) হাসিবুল হাসান শান্তর পদ্মার চরে থাকা পৈত্রিক বেশ কিছু জমি দেখতে যান। সেই জমিতে তিনি চাষাবাদ করেন র্দীঘদিন ১যুগের অধিক সময়।
ঘটনার দিন হাসিবুল জমিতে চাষ করা কালাই মাড়াই করার জন্য দিনমজুর নিয়ে সেখানে যান। সেখান থেকে ফিরে আসার সময় দুপুর আনু: ৩ টার দিকে বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার জাকির হোসেন তাকে কোন কথা ছাড়াই তাকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যান।
এসময় হাসিবুল শান্ত ক্যাম্প কমান্ডার জাকিরকে প্রশ্ন করেন স্যার আমাকে কেন গ্রেফতার করছেন?
এমন প্রশ্ন করা মাত্রই ক্যাম্প কমান্ডার জাকির হাসিবুলকে কিল-ঘুষি ও চড়-থাপ্পড় মারতে মারতে এক পর্যায়ে তাকে টেনে হিঁচড়ে চরখিদিরপুর ১০ নম্বর ক্যাম্পে র ভেতরে নিয়ে যেয়ে তাকে আরোও বেশী নির্যাতন চালান।
এক পর্যায়ে ক্যাম্প কমান্ডার জাকির বলেন, - তোকে যদি এই জমিতে আবার কখনো আসতে দেখি এবার তোকে মাদক বা অস্ত্র দিয়ে চালান দিব।
এক পর্যায়ে ক্যাম্প কমান্ডার জাকির ছেড়ে দেয়ার স্বার্থে হাসিবুল শান্তর কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। সাথে এও বলেন - টাকা দিলে ছাড় পাবি না হলে জেলে যাবি।
উল্লেখ্য যে, হাসিবুল শান্তকে আটকের সময় অত্র এলাকার ১ জন শিক্ষক, ১ জন সাবেক মেম্বারসহ কয়েকজন গন্যমান্য ব্যাক্তি ক্যাম্প কমান্ডার জাকিরের কাছে আটকের কারন জানতে চাইলে ক্যাম্প কমান্ডার জাকির বলেন - ঐ মিয়া তোমরা কে যে আমাকে কৈফিয়ত দিতে হইবো?
উক্ত ঘটনার পরপরেই স্থানীয় ঐ সকল ব্যাক্তিবর্গ হাসিবুল শান্তর বাড়িতে খবর দেয়া মাত্রই হাসিবুল শান্তর পরিবারের সদস্যরা ও পূর্ব ধরমপুর এলাকার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ ক্যাম্পে উপস্থিত হন।
এমন সময় ক্যাম্প কমান্ডার জাকির স্থানীয় এলাকাবাসীর জেরার মুখে পড়লে হাসিবুল শান্তকে গ্রেফতারের কারন দেখাতে না পেরে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।
সরেজমিন উক্ত ঘটনাস্থলে গেলে, একজন স্থানীয় প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক বলেন - রাজশাহীর সুপ্রতিষ্ঠিত একজন টাইলস ব্যবসায়ীকে কোন নির্দিষ্ট কারন ছাড়া ই গ্রেফতার করে নির্যাতন করা অন্যায়।তবে বিজিবির এই কমান্ডার জাকিরের বিরুদ্ধে এর আগেও নিরীহ মানুষের উপর অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ আছে।
এদিকে বিজিবি কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়ে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত চেয়ে বিচার প্রার্থী হয়েছেন হাসিবুল হাসান শান্ত।
মুঠোফোন অসুস্থ হাসিবুল হাসান শান্ত উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের এই প্রতিনিধিকে জানান - বিজিবির চরখিদিরপুর বিওপি ক্যাম্প কমান্ডারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজশাহী জেলা প্রশাসক, রাজশাহী বিজিবির অধিনায়ক, স্বারাষ্ট্র মন্ত্রী ও বিজিবির মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। গতকাল বুধবার আমার পরিবারের পক্ষ থেকে আমার ভাই সাংবাদিক মেহেদী হাসান ওলী এই অভিযোগ সরকারি দপ্তরে জমা দিয়েছেন ।
কে এই বিজিবির ক্যাম্প কমান্ডার জাকির ?
অনুসন্ধানে চরখিদিরপুর ১০ নম্বর এলাকার বিওপি ক্যাম্প কমান্ডার জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে যে তথ্য এলাকাবাসীর কাছ থেকে পাওয়া গেছে এতে রক্ষককে ভক্ষকের ভূমিকায় পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে এলাকাবাসীর কয়েকজন জানান- চরে বিওপি ক্যাম্প কমান্ডার জাকির মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে তার পূর্ব থেকেই সখ্যতা রয়েছে। এলাকার প্রায় ২০/২৫ জনের মাদক ব্যবসায়ীর গডফাদার এই ক্যাম্প কমান্ডার জাকির।
অত্র এলাকার মাদক ব্যবসায়ী পরিত্যাগকারীদের মধ্যে সাধারন জীবন-যাপন করা হোসেন আলী বলেন - মাদক ব্যবসা বন্ধ করেও শান্তি পাচ্ছিনা। মাঝে মধ্যেও বাড়িতে এসে তান্ডব চালায় কমান্ডার জাকির।
গোপনসূত্রে আরো জানা যায়, ভারতীয় নিষিদ্ধ আমাদানি ফেনসিডিল প্রতি ১০০ টাকা এবং চোরাই গরু প্রতি ৩০০০ টাকা কিংবা ৫০০০ করে টাকা নেন বিজিবির জাকির।
আবার রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের বিশেষ অভিযানের পূর্বেই ক্যাম্প কমান্ডার জাকির অত্র এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের এলার্ট করে দেন এবং নিরাপদ স্থানে সরে যেতে পরামর্শ দেন। অবশ্য এমন ঘটনার অসংখ্য নজির রয়েছে অত্র এলাকায়।
এদিকে সার্বিক বিষয় জানতে রাজশাহী বিজিবির চর খিদিরপুর ১০নং বিওপি ক্যাম্প কমান্ডার জাকির হোসেনের সাথে মুঠোফোনে ০১৭৬৯৬১৬৫০৭ নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
@News Source: Uttorbongo Protidin @Ref: fb insta link
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com