ইসলামিক হিস্টোরী, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা বজ্রের শব্দ শুনলে আল্লাহর জিকির করো। জিকিরকারীর ওপর বজ্রপাত হয় না। আর কিয়ামত যত ঘনিয়ে আসবে ততই বজ্রপাতের ঘটনা বাড়বে।
এমনকি এক অঞ্চলের মানুষ অন্য অঞ্চলে গিয়ে জিজ্ঞেস করবে, আজ সকালে তোমাদের মধ্যে কার ওপর বজ্রপাত হয়েছে? জবাবে বলা হবে, অমুকের ওপর, অমুকের ওপর, অমুকের ওপর।’ (আহমদ ও তাফসিরে ইবনে কাসির)
হাদিসে কুদসিতে এসেছে, ‘আল্লাহ বলেন, যদি আমার বান্দারা আমার আনুগত্য করত, তাহলে রাতে তাদের জন্য বৃষ্টি বর্ষণ করতাম। দিনের বেলা সূর্যোদয় ঘটাতাম। কখনো তাদের বজ্রের শব্দ শোনাতাম না।’
আবদুল্লাহ ইবনে জুবাইর (রা.) থেকে সাব্যস্ত হয়েছে যে, তিনি বজ্রপাতের সময় কথা বন্ধ রাখতেন। আর বলতেন— উচ্চারণ : ওয়া য়ুসাব্বিহুর রা’দু বিহামদিহি, ওয়াল মালাইকাতু মিন খিয়ফাতিহি। (সুরা রাদ, আয়াত : ১৩)
অর্থ : বজ্র ও সব ফেরেশতা সন্ত্রস্ত হয়ে তার প্রশংসা পাঠ করে।
এরপর বলেন, এটি দুনিয়াবাসীর জন্য চরম হুমকি। (আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ৭২৩; মুয়াত্তা মালেক, হাদিস : ৩৬৪১; আল-আজকার, হাদিস : ২৩৫)।
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন বজ্রের আওয়াজ শুনতেন তখন এ দোয়া পড়তেন— উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লা-তাক্বতুলনা বিগাজাবিকা, ওয়া লা-তুহলিকনা বিআজা-বিকা; ওয়া আ-ফিনা-ক্বাবলা জা-লিকা।’
অর্থ : হে আল্লাহ, আপনি আমাকে আপনার গজব দিয়ে হত্যা করে দেবেন না এবং আপনার আজাব দিয়ে ধ্বংস করে দেবেন না। এসবের আগেই আপনি আমাকে পরিত্রাণ দিন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৫০)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বজ্রপাতের শব্দ শুনলেই পড়তেন, উচ্চারণ : সুবহানাল্লাজি ইয়ুসাব্বিহুর রা‘অদু বিহামদিহি।
অর্থ : পবিত্র সে সত্তা, বজ্র সন্ত্রস্ত হয়ে যার প্রশংসা পাঠ করে।
ইবনে আবি জাকারিয়া থেকে বর্ণিত অন্য রেওয়ায়েতে আছে, যে ব্যক্তি বজ্রের আওয়াজ শুনে এ দোয়া পড়বে, ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’, সে বজ্রে আঘাতপ্রাপ্ত হবে না। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা : ২৯২১৩)
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com