অনুসন্ধানে জানা যায়, সহপাঠী মেয়ে শিক্ষার্থীদের যৌন হেনস্তা, পরীক্ষায় এ প্লাস দেওয়ার প্রলোভনে স্যারের সঙ্গে অশ্লীল ভিডিও দেখার প্রস্তাবসহ শিক্ষার্থীরা নানা অভিযোগের তীর ছুঁড়েছেন প্রতিষ্ঠানের আরবি ও ইসলামী শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জি এম শামছুল আলমের দিকে। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই শিক্ষকের নানা অশ্লীল প্রস্তাবের সত্যতাও মিলেছে শিক্ষার্থীদের কাছে থাকা নানা স্ক্রিনশটের মাঝে। কাউকে কিছু বললে সাইবার মামলার হুমকিও দিতেন সেই অভিযুক্ত শিক্ষক।
শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের শুরুর পর অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নানা অপকর্মের কথা আসতে থাকে গনমাধ্যমে। একই প্রতিষ্ঠানের মসজিদের ইমাম হারুনুর রশিদকে সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন অভিযুক্ত শিক্ষক। চাকরি না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে উল্টো সেই ইমামকে নারী দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগও রয়েছে।
অভিযুক্ত এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আবু নঈম। অন্যদিকে বগুড়া সরকারি মুস্তাফাবিয়া আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. মোখলেছুর রহমান জানান, এমন ঘটনা সত্যিই লজ্জার তবে ভুক্তভোগী ইমামের টাকা ফেরতের বিষয়ে তারা কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ করবেন।
এদিকে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ চক্রান্ত বলে দাবি করেন অভিযুক্ত সেই শিক্ষক। ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি না হলেও মুঠোফোনে উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে জানান, শিক্ষার্থীদের অনৈতিক সুবিধা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
অন্যদিকে তদন্তকালে সব শিক্ষকের উপস্থিতির কথা অধিদপ্তর থেকে আগাম জানালেও বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না জি এম শামছুল। ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর দাবি শুধু জি এম শামছুলই নয় সময় এসেছে পুরো প্রতিষ্ঠানটির অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্তের।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com