চারঘাট প্রতিনিধি || উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: রাজশাহীর পুঠিয়ায় পাওনা টাকা চাওয়ায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বিএনপি নেতা আজিজুল হককে (৩৫)। তিনি ওই এলাকার সিদ্দিক আলীর ছেলে। 

এসময় তার সাথে থাকা যুবদল কর্মী মিজান (৩০) মারাত্মক আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রামেক হাসপাতালে আইসিউতে রাখা হয়েছে। উভয়ের বাড়ি পুঠিয়া উপজেলার কাঁচুপাড়া গ্রামে।

এসময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুঠিয়া থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। মঙ্গলবার (১৩ আগষ্ট) দুপুর ১ টার সময় ওই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি উপজেলার বাসুপাড়া এলাকার কাজুপাড়ার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। এছাড়াও ওই একই এলাকার মিজানুর রহমান নামের অপর আরেকজন আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন। আজিজুল ইসলাম ৫ নং শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

ওই বিষয়ে নিহতের আত্মীয় আকরাম শাহ্ বলেন, পার্শ্ববর্তী দুর্গাপুর উপজেলার, রঘুনাথপুর শেখ পাড়া এলাকার মহসিনের নিকট হতে আজিজুল পুকুর লিজ সংক্রান্ত ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পেতো। সেই টাকা চাইলে তারা টাকা দিবে বলে ভেগারমোড় এলাকায় ডেকে নিয়ে হাতুড়ি দিয়ে ব্যাপক মারধর করে। পরে আজিজুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আজিজুলের ১০ম শ্রেণী পড়ুয়া একটি মেয়ে রয়েছে।

নিহত আজিজুল ইসলামের পিতা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, পাওনা ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা আমার ছেলেকে দিবে বলে ওরা ডেকে নিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। মহসিন ও মোজাম তারা অস্ত্র মামলার আসামিও। এছাড়াও ওরা ডাকাত পরিবার। আমার ছেলে হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।

৩ নং পানানগর ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খবির উদ্দিন আহমেদ বলেন, মোজাম্মেল হক (মাজাম) সে ঘটনাস্থলের বাইরে থেকে ইন্ধন দিচ্ছে। সে মোতাবেক তার ভাই মহসিন ও তার ছেলেরা আজিজুলকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। মোজাম অতীতে তারা চুরি ডাকাতি করে খেতো। তারপর এখন নেতা হয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে রাজশাহী পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সাইদুর রহমান বলেন, টাকা পয়সাকে কেন্দ্র করে মারামারিতে একজন নিহত হয়েছেন। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।