bnp-will-go-non-cooperation-movement
১২ই নভেম্বর থেকে অসহযোগ আন্দোলনে যাচ্ছে বিএনপি

১২ই নভেম্বর থেকে ‘অসহযোগ’ আন্দোলনে যাচ্ছে বিএনপি

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

ষ্টাফ রিপোর্টার | উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: আগামী সপ্তাহে আসছে বিএনপি‘অসহযোগ আন্দোলন’ । বিএনপি তাদের সমমনাদের নিয়ে সরকার পতনে এক দফার চূড়ান্ত আন্দোলনে টানা কর্মসূচির পরিকল্পনা করছে। রোববার থেকে ৪৮ ঘন্টার অবরোধ শেষে একদিন বিরতি দিয়ে বুধবার থেকে আবারও দুদিনের অবরোধ দেবে। আর ১২ই নভেম্বর থেকে তারা বিরতিহীন কিংবা অসহযোগ আন্দোলনে নামতে যাচ্ছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

 

 

 

এদিকে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আগুন সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন অবরোধের নামে কেউ আগুন দিতে এলে তাকে সেই আগুনেই ফেলে দেয়া উচিত। তা না হলে তারা সিধে হবে না। য। যেমন কুকুর তেমন মুগুর দিতে হয়।

 

ইসলামিক রাজনৈতিক দল সাতদিনের মধ্যে সরকারের পদত্যাগ এবং জাতীয় সরকার গঠনের আলটিমেটাম দিয়েছে। 

 

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপিসহ নিবন্ধিত দলগুলো নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণ জানালেও বৈঠকে যাচ্ছে না অনেক রাজনৈতিক দল। বিধায় বিএনপি ইসির চিঠি গ্রহণই করেনি। যদিও নিবন্ধিত অন্যান্য দলগুলো আমন্ত্রণ পেয়েছেন। 

 

তবে বিএনপি বলছে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি মানা হচ্ছে না। ফলে এই ইসির সংলাপে যাওয়ার কোনো অর্থই হয় না। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১২ দলীয় জোটের নিবন্ধিত দলগুলোও ইসির সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলে ইসির এই আয়োজন কতটা সফল হবে তা নিয়ে এখন প্রশ্ন রাজনৈতিক দলগুলোর এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

 

একের পর এক শীর্ষ নেতার গ্রেপ্তারের পরও নিরপেক্ষ অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের দাবিতে বিএনপি তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাবে বলে দলটির নেতারা নিশ্চিত করেছেন। তবে একইসাথে তারা তাদের কৌশলে পরিবর্তন আনার চিন্তা করছেন, কারণ অবরোধ দীর্ঘসময় দিয়ে রাখলে এর কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে জনগণের যে সহানুভূতি তারা অর্জন করেছেন সেটাও হারিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছে দলটির নেতৃত্ব। সামনে তাই নতুন কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারে।

 

তবে আওয়ামী লীগসূত্র  বলছে – আগামী ১০ জানুয়ারি নতুন করে দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হলে ওইদিনই সরকার গঠন করতে চায় ক্ষমতাসীন দলটি। আওয়ামী লীগ ও সরকারের একাধিক সূত্রে এমন আভাস পাওয়া গেছে।

 

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেছেন, ‘১০ জানুয়ারি আমাদের জন্য, এ জাতির জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে যদি আমরা এ দিন সরকার গঠন করতে পারি, সেটি হবে আরও আনন্দের।’ কেননা মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফেরত আসেন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান

 

 

 

এক সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন – আগামী নির্বাচন নিয়ে চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে বিরোধী দল বিএনপির সাথে সংলাপ বা সমঝোতার প্রয়োজন নেই। সংলাপ বা সমঝোতার প্রয়োজনবোধ তারা মনে করছেন না।

 

 

 

আর উদ্ভূত এই পরিস্থিতির পর নির্বাচন নিয়ে সংলাপ বা সমঝোতার পরিবেশ তৈরির আর কোন সুযোগ আছে বলে মনে করেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোবাইদা নাসরীন।

 

 

 

আরেকজন বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমেদ বলছেন ২ প্রধান রাজনৈতিক দল সবসময়ই নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকায় সমঝোতার কোন সুযোগ আগেও কখনো তৈরি হয়নি।

 

 

 

তবে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের ত্রুটিপূর্ণ দুটি নির্বাচনের পর এবারের জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সরকারের উপর মার্কিন নেতৃত্বে পশ্চিমা দেশগুলোর চাপ আছে।

 

 

বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ এবং দেশি বিদেশি পর্যবেক্ষক এমনকি নির্বাচন কমিশনও মনে করে প্রধান ২ দলের মধ্যে নির্বাচন ইস্যুতে অর্থবহ সংলাপ প্রয়োজন। কিন্তু এ ব্যাপারে দুই দলই পরস্পরবিরোধী অনড় অবস্থান নিয়েছে।

bnp-will-go-non-cooperation-movement

উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.