ইসলামিক সংবাদ, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন:: আস্তাগফিরুল্লাহ বা তওয়ার দোয়া সম্পর্কে জানার আগ্রহ অনেকের থাকে। অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে, আস্তাগফিরুল্লাহ অর্থ কি বা আস্তাগফিরুল্লাহ আরবি না বাংলা? আবার আস্তাগফিরুল্লাহ কখন বলা হয় এ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। আস্তাগফিরুল্লাহ কেন পাঠ করা হয় বা আস্তাগফিরুল্লাহ এর ফজিলত কি এ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান।
আস্তাগফিরুল্লাহ’র গুরুত্ব
আস্তাগফিরুল্লাহ এর প্রধন ফজিলত হচ্ছে আল্লাহ তা’আলার ক্ষমা পাওয়া। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মাদ (সা:) তাদের জন্য সুসংবাদ দিয়েছেন, যাদের আমলনামায় অধিক ইস্তেগফার পাওয়া যাবে। প্রতিদিন আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করা নবীজি (সা:) এর সুন্নতের অনুসরণ। কারণ নবীজি (সা:) দৈনিক কমপক্ষে ৭০ বার ইস্তেগফার পাঠ করতেন।
আস্তাগফিরুল্লাহ’র রয়েছে অংসখ্য ফজিলত ও নেকী
▶ আস্তাগফিরুল্লাহ নির্ভেজাল একটি ইবাদত।
▶ গুণা থেকে ক্ষমা প্রাপ্তির মাধ্যম।
▶ বৃষ্টি বর্ষণের কারণ।
▶ সার্বিক শক্তি অর্জনের মাধ্যম।
▶ সম্পদ ও সন্তান অর্জনে সহায়ক।
▶ রিজিক লাভের মাধ্যম।
▶ জান্নাতে প্রবেশের সিঁড়ি।
আল কোরআনে আস্তাগফিরুল্লাহ’র গুরুত্ব
সর্বশেষ ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কোরআনের সূরা হুদ, আয়াত ৫২ তে বলা হয়েছে, ‘হে আমার কওম, তোমরা তোমাদের রবের কাছে ইস্তেগফার করো। অতঃপর তার কাছে তওবা করো, তাহলে তিনি তোমাদের ওপর মুষলধারে বৃষ্টি পাঠাবেন এবং তোমাদের শক্তির সঙ্গে আরও শক্তি বৃদ্ধি করবেন। আর তোমরা অপরাধী হয়ে বিমুখ হয়ো না।’
সূরা আনফাল এর ৩৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, যারা ইস্তেগফার করছেন, আল্লাহ তাদের ওপর আজাব নাজিল করেন না। সূরা হুদ এর ৩ নম্বরে আয়াতে বলা হয়েছে, “তোমরা তোমাদের রবের কাছে ইস্তেগফার করো। এরপর তার কাছে ফিরে যাও, তাহলে অধিক আনুগত্যশীলকে তাঁর আনুগত্য মোতাবেক দান করবেন।”
আসুন এবার দেখে নিই আল্লাহতালা ও নবী করিম (সা:) আস্তাগফিরুল্লাহ’র জন্য কি কি পুরস্কার ঘোষণা করেছেন
▶ ইস্তিগফারের কারণে প্রচুর বৃষ্টিবর্ষণ হয়। বাগান ও শস্যে ভালো ফসল হয়। নদীনালা থাকে জীবন্ত।
▶ ইস্তিগফারকারীকে আল্লাহ উত্তম সন্তান, সম্পদ ও জীবিকার দ্বারা সম্মানিত করেন।
▶ দ্বীন পালন সহজ হয়, কর্মজীবন হয় সুখের।
▶ দয়াময় আল্লাহ ও বান্দার মধ্যে যে দূরত্ব আছে, তা মিটে যায়।
▶ ইস্তিগফারকারীর কাছে দুনিয়াকে খুব তুচ্ছ করে দেওয়া হয়।
▶ মানব ও জিন শয়তান থেকে তাকে হেফাজত করা হয়।
▶ দ্বীন ও ইমানের স্বাদ আস্বাদন করা যায়।
▶ আল্লাহর ভালোবাসা অর্জিত হয়।
▶ বিচক্ষণতা ও বিশ্বাস বৃদ্ধি পায়।
▶ দুশ্চিন্তা ও পেরেশানি দূর হয়।
▶ বেকারত্ব দূর হয়।
▶ আল্লাহতায়ালার নৈকট্য অর্জিত হয়। আর তওবার কারণে আল্লাহ আনন্দিত হন।
▶ মৃত্যুর সময় ফেরেশতারা তার জন্য সুসংবাদ নিয়ে আসে।
▶ হাশরের মাঠে মানুষ যখন প্রচন্ড গরম ও ঘামের মধ্যে থাকবে, তখন ইস্তিগফারকারী থাকবে আরশের ছায়াতলে।
▶ কিয়ামতের দিন মানুষ যখন অস্থির থাকবে, ইস্তিগফারকারী তখন ডানপন্থি মুত্তাকিনদের দলে থাকবে।
▶ মন্দ কাজ থেকে বেঁচে থাকা যায়।
▶ আরশ বহনকারী ফেরেশতারাও তার জন্য দোয়া করেন।
Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.
Subscribe to get the latest posts sent to your email.