স্টাফ রিপোর্টার, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন ::
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক গত বছর যোগদানের পর থেকেই আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি কঠোর হাতে দমন করেছেন ।
বিশেষত রাজশাহীতে অপারেশন কন্ট্রোল এ্যান্ড মনিটরিং সেন্টার, কিশোর গ্যঙ্গ উৎখাত, ছিনতাইকারী দমন, অপহরন চক্র নিধন,আন্তর্জাতিক স্বর্ন চোরাচালান সিন্ডিকেটের মুখোশ উন্মোচন, মাদক নির্মূলসহ অসংখ্যা অপরাধ দমনে প্রশংষিত হয়েছেন রাজশাহীর আপামর জনগন ও সুশীল সমাজের মাঝে।
মাদকাসক্ত পুলিশের বিরুদ্ধেও নিয়েছেন কঠোর অবস্থান। এছাড়াও জানুয়ারী মাসে ৯ পুলিশ সদস্যকে জুয়া খেলার অপরাধে গ্রেফতার পূর্বক বরখাস্থ এবং রাজশাহী মহানগরে ডিবির একযোগে ৩৮ জন পুলিশ অফিসারকে বদলি করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন বর্তমান পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক।
একজন মানবিক পুলিশ অফিসার হওয়ার সাথে সাথে অপরাধ দমনেও তার জুড়ি মেলা ভার।
কিন্তু সম্প্রতি পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ আবু কালাম সিদ্দিকের এই অর্জন গুটিকয়েক পুলিশ সদস্যদের কারনে ম্লান হওয়ার অন্তরায়।
কিন্তু সম্প্রতি আবারো গ্রেফতার বানিজ্যে পুরাদস্তুর হয়ে মাঠে নেমেছেন রাজশাহী মহানগর ডিবির এএসআই সোহেলসহ এসআই নুরন্নবীর একটি টিম। এর প্রমান স্বরুপ রাজশাহী মতিহার এলাকার মাদকসহ আটককৃত এক ব্যাক্তির স্ত্রীর কাছ থেকে এএসআই সোহেলকে ঘুষের টাকা কিভাবে নিচ্ছেন সেটি গোপনে ধারনকৃত একটি ভিডিও ফুটেজে ফুটে উঠেছে।
শুধু তাই নয়, গেল ২ মাস আগে বাগধানী এলাকায় উদ্ধারকৃত গাঁজাও বিক্রি করেন এএসআই সোহেল ও এসআই নুরনবী। তারও কিছুদিন আগে প্রায় ৪০০ বোতলসহ এক ব্যাক্তিকে ধরে পরবর্তীতে ছেড়ে দিয়ে উদ্ধারকৃত ৪০০ বোতল ফেন্সিডিল বিক্রি করে দেন রাতারাতি।গোপন সূত্রে জানা যায়, এ সমস্ত বিষয়েও অবগত ছিলেন ডিবির ওসি রেজাউল করিম।নীরবে তিনি সম্মতি দিয়ে গেছেন এএসআই সোহেল ও এসআই নুরনবীকে।
উক্ত ভিডিও ফুটেজে স্পস্ট শোনা যাচ্ছে এএসআই সোহেল বলছেন - এত কম টাকার বিষয়ে ওসি ও ডিবি ডিসি স্যার মানবেননা। আপনাকে যা বলেছি তাই ব্যবস্থা করে আনেন তারপর আপনাকে আপনার স্বামীর সাথে দেখা করাব।এরপর টাকা লেনদেনের পরেই আসামীকে তার স্ত্রীর সাথে দেখা করান এএসআই সোহেল।
এখানে আরোও উল্লেখ্য যে, রাজশাহী মহানগর ডিবিতে সকলের বদলী হলেও অদৃশ্য কারনেই থেকে গেছেন এএসআই সোহেল।
এখন প্রশ্ন, গেল ২ মাস আগে মাদক ক্রয় বিক্রয় সংক্রান্ত একটি বিষয়ে বরখাস্থ হন পলাশ নামের এক পুলিশ সদস্য। এরপরেই এই ঘটনা জনমনে বিভিন্ন প্রশ্নের দেখা দিয়েছে।
এদিকে সার্বিক বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য রাজশাহী মহানগর ডিবির ডিসি আরেফিন জুয়েলকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
[embed]https:\/\/preview-xupnewsc.uttorbongoprotidin.com//preview-xupnewsc.uttorbongoprotidin.com//youtu.be/Yqk0pYiJ2Rs[/embed]
অন্যদিকে রাজশাহী মহানগর ডিবির ইন্সপেক্টর রেজাউল করিমকে ফোন দিলে তিনি বলেন - আমি সারদায় ট্রেনিং সেন্টারে আছি। আমি কিছুই জানিনা।
তবে রাজশাহীর অভিজ্ঞ মহল বলছেন - চলমান এই এই ভিডিওটিতে এএসআই সোহেলের যে বক্তব্য প্রতীয়মান হয়েছে এতে সোহেল শুধু নিজেই অপরাধ করেননি বরং রাজশাহী মহানগর ডিবির ওসি ও রাজশাহী মহানগর ডিবির ডিসিকেও বিতর্কিত করতে ছাড়েননি।অবশ্যই এ সকল নীতি বিবর্জিত পুলিশ সদস্যদের বিচার হওয়া দরকার বৈকী।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com