এমতবস্থায় রাজশাহীর প্রবীন সাংবাদিক ও বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল এটিএন বাংলার সুজাউদ্দিন ছোটনের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজী মামলা ও নারী শিশু নির্যাতন মামলা দিয়ে হয়্রানীর অভিযোগ উঠেছে।এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নসহ দেশের কয়েকটি সাংবাদিক সংগঠন।
এজাহার সুত্রে জানা যায়, সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনের বিরুদ্ধে স্থানীয় একটি নিউজ পোর্টাল সংবাদ প্রকাশ করে যা ভিত্তিহিন ও মান হানিকর ।এই ধারাবাহিকতায় উক্ত অনলাইন নিউজ পোর্টালের সাংবাদিক পরিচয় দানকারী একজন নারী উক্ত সংবাদের ভিডিও অপসারণের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিক ছোটনের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ইং তারিখে সুজাউদ্দিন ছোটন রাজশাহী বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং -
এদিকে মুঠোফোনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজশাহী মহানগরীর প্রবীন সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটন জানান -চলতি বছরের জুলাইয়ের ১০ তারিখে রাত সাড়ে ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৯টার মধ্যে বোয়ালিয়া মডেল থানার শিরোইল কাঁচা বাজার এলাকায় তিনটি ধর্তব্য অপরাধের ঘটনা ঘটলেও ঘটনাস্থলে পুলিশ একবারও আসেনি। এর মধ্যে দুইটি চাঁদাবাজির ঘটনা এবং একটি যৌন হয়রানীর ঘটনা। ৩ টি ঘটনাতেই রাজশাহী বোয়ালিয়া মডেল থানায় পৃথক পৃথকভাবে মামলার অজু করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ মামলা দুটি রেকর্ড করা হয়েছে ১২ তারিখে আরেকটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ তারিখে। কোন মামলা রেকর্ড এর পূর্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে একবারও যায়নি। এমনকি মামলা রেকর্ডের পরেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেনি।
প্রবীন সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটন আরোও জানান - আলোচিত এই দুই মামলার মধ্যে চাঁদাবাজির মামলার বাদী নগরীর কুখ্যাত সুদ কারবারি, একাধিক চাঁদাবাজি ও সাইবার ক্রাইম অপরাধ মামলার আসামি আয়েশা আক্তার লিজা এবং অপর মামলাটির বাদী সাংবাদিক পরিচয় দানকারী তাজমিরা তাবাসসুম নামের এক নারী। রাজশাহী মহানগরী চিহ্নিত সুদ কারবারি আয়েশা আক্তার লিজার বিরুদ্ধে সাবেক একজন সংসদ সদস্যকে ব্ল্যাকমেইল করে বিপুল অর্থ সম্পদ হাতিয়ে না আরো অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও সুদের টাকা খাটিয়ে সাদা ষ্ট্যাম্প ও ফাঁকা চেকের খপ্পড়ে ফেলে কৌশলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই চক্র। টাকা না পেলে আদালতে মামলা ঢুকে দিচ্ছেন। অন্তত ৩০ জন ব্যক্তি নিজের কাছ থেকে সুদে টাকা নিয়ে মামলার আসামি হয়ে এখন আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন।
অন্যদিকে তাসমিরা তাবাসসুম যৌন হারানির মিথ্যা মামলা করে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে।গত বছর এই নারীর দায়ের করা যৌন নিপীড়ন মামলায় আরো কয়েকজন সাংবাদিক আসামী হিসেবে এখনো আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন। তাসমিরা তাবাসসুমের বাড়ি নগরীর চন্দ্রিমা থানা এলাকার ভদ্রা জামালপুর এলাকায়। চন্দ্রিমা থানার সাবেক ওসি মাহবুব আলমের সাথে এই নারীর বিশেষ সম্পর্ক থাকায় তাদের বাড়িতেও যাতায়াত ছিল এই ওসির।' খাম 'কাণ্ডের মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণের পর চন্ডীমা থানার ওসি মাহবুব আলমকে প্রত্যাহার করে আরএমপি সদর দপ্তরে সংযুক্ত করার পর ওসি মাহবুব তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী আয়েশা আক্তার লিজা ও তাজমিরা তাবাসুমকে মাঠে নামান এবং খামে করে ঘুষের টাকা লেনদেনের ভিডিও মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ার কারণে বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন মামলা করার ষড়যন্ত্র চলমান রয়েছে।
এই প্রবীন সাংবাদিক আরোও জানান - ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বোয়ালিয়া থানার ওসি হুমায়ুন কবিরকে বিশেষভাবে ম্যানেজ করে সাংবাদিক ছোটনের বিরুদ্ধে এক ঘণ্টার ব্যবধানে দুইটি মামলা দায়ের করানো হয় । তাসমিরা তাবাসসুম অভিযোগ করার আগেই সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটন তাসমিরার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলার করার জন্য থানায় গেলেও ওসি তাসমিরার মামলা গ্রহণের ব্যাপারে তৎপর থাকেন। কথিত যৌন হয়রানীর অভিযোগকারীর ঘটনাস্থল দেখানো হয়েছে শিরোইল কাচা বাজারের পূবালী মার্কেটের দোতলা। ওই স্থানটিতে আরএমপির সিসি ক্যামেরা রয়েছে এবং প্রকাশ্য জনসমক্ষে যৌন হয়রানি করা অসম্ভব ব্যাপার হিসেবে বোয়ালিয়া থানার ওসিকে বিষয়টি তদন্ত করে মামলা নেওয়ার অনুরোধ করা হলেও তিনি তা আমলে নেননি। মিথ্যা মামলা দায়ের করার এই ষড়যন্ত্রের সাথে দুর্জয় খান নামের আর একজন যুবক রয়েছে। এই দুর্জয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, চাঁদাবাজি ও হত্যার চেষ্টা আরো অভিযোগ রয়েছে। বিয়ে না করেই এই দূর্জয় একাধিক নারীর সাথে বিভিন্ন সময়ে তিনি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com