অবশ্য পবিত্র বাইতুল্লাহ বহু পুরাতন এবং পৃথিবীর প্রথম ইবাদতের ঘর হওয়ায় এর সংস্কার কাজ প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমনের বহু পূর্ব হতেই চলে এসেছে। বর্তমানে এই দুই মহান স্থাপনার রক্ষনাবেক্ষন, সংস্কার এবং আধুনিকিকরণে সউদী আরবের সরকারের নিয়মতান্ত্রিক রাষ্ট্রীয় কমিটি রয়েছে। মূলত সউদি বাদশাহদের ইচ্ছায় মক্কাতুল মুকাররমা এবং মদীনাতুল মুনাওওয়ারায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদের প্রভূত সংস্কার কাজ করা হয়। আমরা জানি, এই দুই পবিত্র মসজিদে ব্যবহৃত পাথরের টাইলসগুলো বিশেষ তাপ শোষণ ক্ষমতাসম্পন্ন অতি দুর্লভ মার্বেল পাথর। এই বিষয়টি নিয়েই, মসজিদে নববীকে ঘিরে রয়েছে চমকপ্রদ এক অলৌকিক ঘটনা। চলুন, শুনে আসি সেই অলৌকিক ঘটনার বিবরণ।
হারামাইন শরিফাইনের আধুনিকিকরণ ও সম্প্রসারণের সাম্প্রতিক এ কাজটি করেছেন মিসরের সৌভাগ্যবান শতায়ু এক স্থপতি, যার জন্ম ১৯০৮ ইং সালে এবং ঠিক গোণায় গোণায় যিনি ইন্তিকাল করেন ১০০ বছর পরে ২০০৮ ইং সালে। এই মহান মানুষটির বিলাসহীন ও অনাড়ম্বর জীবন যেমন বিস্ময়কর, ঠিক তেমনি দুই মসজিদের, বিশেষ করে মদীনার মসজিদে নববীর আধুনিকিকরণের কাজটিও ছিল আরও বিস্ময়কর এবং অলৌকিকতায় পূর্ণ।সেই মহান ব্যক্তির নাম ড. মুহাম্মদ কামাল ইসমাঈল রহ.। তিনি মিশরের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে উচ্চ বিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত ব্যক্তি। শুধু এটাই নয়, তাঁর সম্মন্ধে জানা যায় যে, মিশরের প্রসিদ্ধ রয়েল স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হওয়া এবং সেখান থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করা সবচেয়ে কম বয়সী ব্যক্তিও ছিলেন তিনি। সবচেয়ে কম বয়সে ইসলামী আর্কিটেকচারে তিনটি ডক্টরেট ডিগ্রিপ্রাপ্তির জন্য ইউরোপে ভ্রমন ও পড়াশোনা করেছেন তিনি। এছাড়াও তিনি রাজার কাছ থেকে নীলে স্কার্ফ এবং আয়রন পদমর্যাদাপ্রাপ্ত সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি ছিলেন। এছাড়াও তার সবচেয়ে বড় পরিচয়, তিনিই প্রথম প্রকৌশলী যিনি হারামাইন শরিফাইন অর্থাৎ, মক্কাতুল মুকাররমাহ ও মদীনাতুল মুনাওওয়ারাহ মসজিদ সম্প্রসারণ প্রকল্পের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করেছিলেন।
[caption id="attachment_116165" align="alignleft" width="1080"] মসজিদে নববী[/caption]
বাদশাহ ফাহাদ এবং বিন লাদেন কোম্পানির প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তিনি তার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন এবং স্থাপত্যকর্ম তদারকির জন্য কোনো প্রকার অর্থ গ্রহণ করতে রাজি হননি। তাদের লাখ লাখ রিয়ালের চেক ফিরিয়ে দিয়ে বিন লাদেন কনস্ট্রাকশন্স লি: এর উর্ধ্বতন কমকর্তা বাকের বিন লাদেনকে তিনি বলেছিলেন যে, 'আমি কেন পবিত্র দু'টি মসজিদে আমার কাজের জন্য অর্থ গ্রহণ করব? তাহলে আমি কীভাবে বিচার দিবসে আমার মালিক মহান আল্লাহ তাআ'লাকে মুখ দেখাব?'
ড. মুহাম্মদ কামাল ইসমাঈল রহ. ৪৪ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন। তার স্ত্রী এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়ে ইন্তেকাল করেন। স্ত্রী বিয়োগের পরে বাকি জীবনে তিনি আর বিয়ে করেননি এবং ২০০৮ ইং সালে ইন্তেকালের পূর্ব পর্যন্ত তিনি নিজের জীবনের পূর্ণ সময় একমাত্র মহান আল্লাহ তাআ'লার ইবাদতে নিবেদিত করেছিলেন। গণমাধ্যমের যশ, খ্যাতি এবং অর্থের মোহ থেকে দূরে থেকে তিনি তার সময়কে দুই পবিত্র মসজিদের সেবায় ব্যয় করেছিলেন।
এই প্রতিভাবান ব্যক্তির ঐকান্তিক ইচ্ছে ছিল- তিনি তাওয়াফকারিদের জন্য মসজিদুল হারাম অর্থাৎ, কাবা শরিফের মেঝেটি এমন একটি মূল্যবান পাথর দিয়ে আচ্ছাদিত করবেন যেটি সহজে গরম হবে না এবং যার কারণে তাওয়াফকারী ও ইবাদতে রত ব্যক্তিবর্গের সুবিধা হয়। এ ব্যাপারে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে খোঁজ-খবর নিয়ে অবশেষে তিনি জানতে পারলেন যে, এই বিশেষ তাপ শোষণক্ষমতাসম্পন্ন মার্বেল কেবল গ্রীসের একটি ছোট পর্বতেই পাওয়া যায়। এ খবর জানার পরে তিনি কালবিলম্ব না করে সাথে সাথে গ্রীস ভ্রমণের মনস্থ করেন। গ্রীসে পৌঁছে তিনি সেই পাথরের বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে প্রয়োজনীয় আলোচনা শেষে মসজিদুল হারামের জন্য প্রায় উক্ত পাহাড়ের অর্ধেকাংশ পরিমাণে মার্বেল কেনার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। আশ্চর্য্য বিষয় হচ্ছে, তিনি উক্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করার পরে মক্কায় ফিরে আসতে না আসতেই চুক্তিকৃত সেই সাদা মার্বেল পবিত্র মক্কা মুকাররমায় চলে এসেছিল এবং আলহামদুলিল্লাহ, অতি অল্প সময়ে মক্কার পবিত্র বাইতুল্লাহর মেঝেতে সফলতার সাথে উক্ত মার্বেল স্থাপনের বিশাল কাজটি সম্পন্ন হয়েছিল।
[caption id="attachment_116166" align="alignleft" width="1080"] কি ছিল মসজিদে নববীর ইঞ্জিনিয়ার ড: কামাল ঈসমাইলের আলৌকিক ঘটনা ?[/caption]
পবিত্র বাইতুল্লাহ শরিফে বিশেষ তাপ শোষণক্ষমতাসম্পন্ন মার্বেল স্থাপনের সুদীর্ঘ ১৫ বছর পরের ঘটনা। সউদি সরকারের পক্ষ থেকে ড. মুহাম্মদ কামাল ইসমাঈল রহ.কে মদীনার পবিত্র মসজিদে নববীতেও অনুরূপ মার্বেল স্থাপন করতে বলা হয়। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, যখন বাদশাহ তাকে নবীজির মসজিদটিকেও একই মার্বেল দিয়ে আচ্ছাদিত করতে বললেন, তখন আমি খুব দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। কারণ, এই ধরণের মার্বেল পাওয়ার জন্য পৃথিবীতে কেবলমাত্র একটিই জায়গা ছিল এবং এটি ছিল গ্রীস। আর আমি এটাও জানি যে, এরই মধ্যে তার অর্ধেকটা মার্বেল আমিই কিনে নিয়েছি এবং তা-ও বিগত প্রায় ১৫ বছর পূর্বে। সুতরাং, দীর্ঘ এই ১৫ বছর পরে সেখানে গিয়ে বাকি সেই মার্বেল পাওয়া যাবে- এমনটা কিভাবে আশা করতে পারি! যদি উক্ত মার্বেল না পাওয়া যায়, প্রিয় নবীজীর স্মৃতি বিজড়িত মসজিদে নববীর কাজটি কিভাবে সম্পন্ন করবো- ইত্যাকার চিন্তায় আমি অস্থিরতায় ডুবে গেলাম। কেবলই আল্লাহ তাআ'লার উপর ভরসা করে তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করে অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে এগুতে থাকলাম.....
ইত্যাকার নানান চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছিল মাথায়। তবে, হতাশা আমাকে আটকে রাখতে পারেনি কখনো। ভাবতে ভাবতে আনমনে নিজেকে নিজেই বলছিলাম, আল্লাহ তাআ'লার করুনা অপার। তিনি আমাকে ব্যর্থ মনোরথ করবেন না। তাঁর সীমাহীন দয়ারই শুধু আমি ভিখারী। তাঁর দয়া ব্যতিত আমার পক্ষে কিছুই করা সম্ভব নয়। আমি তাঁরই নিকট সাহায্য প্রার্থনা করছি। ইনশাআল্লাহ তিনি দারুণ কিছু করবেন।
পরের দিন, গ্রীস থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসবো, বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে, আমি আরেকটি ফোন কল পেলাম। সেই অফিস থেকে। অফিস সেক্রেটারি জানালেন যে, তিনি ক্রেতার ঠিকানাটা পেয়েছেন। এই সংবাদটা আমার জন্য কিছুটা হলেও আনন্দের ছিল। কিন্তু আমি বুঝতে পারছিলাম না যে, আমার তখন আনন্দ প্রকাশ করা উচিত কি না; কারণ বহু বছর পূর্বেকার সেই ক্রেতার ঠিকানা পাওয়ার ভেতরে আসলেই কি আনন্দের কিছু থাকতে পারে? তখন আমি কিছুটা দ্বিধার মধ্যে ছিলাম যে, এই ঠিকানা নেয়ার জন্য আমি কি আবার তাদের অফিসে যাব? এটি নিয়েই বা আমি আসলে কী করবো! অথবা, এই ঠিকানা আমার কি কাজে আসতে পারে - এসব ভেবে চিন্তিত এবং উদ্বিগ্ন চেহারায় ধীর পদক্ষেপে শেষ পর্যন্ত চলেই গেলাম তাদের অফিসে। অফিসে পৌঁছাতেই সেক্রেটারি ভদ্রলোক আমাকে সেই সংস্থার ঠিকানাটা দিলেন যারা বাকি মার্বেলগুলো ক্রয় করেছিল।
আমি ঠিকানাটায় একবার নজর দিতেই দেখি সেটি একটি সউদি সংস্থা। মুহূর্তেই আমার হৃদয়টা অন্যরকম এক আনন্দে ভরে উঠলো এই ভেবে যে, যাক, শেষ পর্যন্তু আল্লাহ তাআ'লার রহমত যে, মার্বেলগুলোর ক্রেতা অন্ততঃ সৌদি একটি সংস্থা। অন্য কোনো দেশ হলেও তো হতে পারতো। মার্বেল পাওয়া যাক আর না-ই যাক, ক্রেতা সউদি সংস্থা হওয়ার ফলে তাদের সাথে যোগাযোগ করাটা তো অন্ততঃ সহজ হবে। শুকরিয়া, আলহামদুলিল্লাহ।
আমি সেই দিনই গ্রীস ছেড়ে সউদিতে চলে গেলাম। সউদি পৌঁছে বাসায় না গিয়ে সরাসরি গিয়ে উপস্থিত হলাম মার্বেল ক্রেতা সেই সংস্থার অফিসে। সেখানকার ডিরেক্টর অ্যাডমিনের সাথে দেখা করলাম। প্রাথমিক কুশল বিনিময়ের পরে তার কাছে জানতে চাইলাম, বহু বছর আগে গ্রীস থেকে যে মার্বেল তারা কিনেছিলেন তা দিয়ে তারা কি করেছিলেন!তিনি একটু ভেবে নির্দ্বিধায় জানালেন যে, বিষয়টি তার মনে পড়ছে না।
আমি বিশেষ প্রয়োজনের কথা বলায় আমাকে অনুমতি দেয়া হলে আমি ভালোভাবে খুঁজে সংস্থাটির স্টক রুমে গ্রিসের সেই সাদা মার্বেল নমুনা হিসেবে পেলাম। এবার তাকে সেই মার্বেল দেখিয়ে সে সম্পর্কে জানতে চাইলাম। উত্তরে তিনি আমাকে বললেন যে, সেই চালানের সমস্ত মার্বেল অবিকল অবস্থায় তাদের স্টকেই রয়ে গেছে। তা থেকে কোনো মার্বেলই এখন পর্যন্ত ব্যবহার হয়নি। অর্থাৎ, গ্রীস থেকে যেভাবে আনা হয়েছিল এখনও মার্বেলগুলো সেভাবেই সংরক্ষিত রয়েছে।
আমি বারবার আল্লাহ তাআ'লার শুকরিয়া আদায় করতে থাকলাম এবং সেই মুহূর্তে আমার কাছে নিজেকে ধরে রাখা ছিল খুবই কঠিন একটি কাজ। আল্লাহ তাআ'লার সীমাহীন কুদরতের কারিশমা বুঝার সাধ্য কার! আমি আনন্দে শিশুর মতো কাঁদতে শুরু করলাম। মালিকপক্ষকে উক্ত মার্বেলগুলো আমাদের নিকট বিক্রি করার ব্যাপারে রাজি হওয়ার কথা বললে তিনি এককথায় মার্বেলগুলো দিতে সম্মত হন। তখন সংস্থার মালিককে একটি ফাঁকা চেক দিয়ে তিনি যত দাম চান তা লিখতে অনুরোধ করলাম।
কিন্তু মার্বেলগুলো প্রিয়নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মসজিদে নববীর জন্য ব্যবহার করা হবে বিধায় সংস্থার মালিক বললেন যে, দয়া করে আমাকে ক্ষমা করবেন, এই মার্বেলের বিনিময়ে আমি একটি রিয়ালও গ্রহণ করতে পারবো না। আল্লাহ তাআ'লার দরবারে অসংখ্য শুকরিয়া যে, তিনি আমাকে এই মার্বেল পাথর আমদানি করার পরে তা ভুলে যেতে তাওফিক দিয়েছেন এবং আমি বুঝতে পারছি- এ পাথর তাঁর প্রিয় নবীর মসজিদে লাগাতেই তিনি সৃষ্টি করেছেন। এখানে সবই অলৌকিক ইশারায় হচ্ছে।
অতএব, এর কোনো বিনিময় নেয়া আমার জন্য চরম অন্যায় বলে আমি মনে করি। এটি আমি কেবল আমার আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লাকে খুশি করার জন্যই করবো। প্রিয় নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মসজিদে এ পাথর ব্যবহৃত হবে, এটাই আমার জীবনের বড় পাওয়া। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কি হতে পারে? আমার ব্যবসায়িক জীবনে এর চেয়ে সফলতার আর কোনো ঘটনা ইতোপূর্বে ঘটেনি। সত্যিই আল্লাহ তাআ'লা আমাকে আমার ব্যবসায়ে লাভবান করবেন বলেই এই মার্বেল আমাকে দিয়ে গ্রীস থেকে ক্রয় করিয়েছেন। আবার মার্বেলগুলো নিয়ে আসার পরে দীর্ঘ এই প্রায় ১৫ টি বছর আমার স্মৃতি থেকে এই মার্বেলের কথা একেবারেই বিস্মৃত করে রেখেছেন। আমি তাঁর শুকরিয়া আদায় করার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। আল্লাহু আকবার। আল্লাহ মহান। তিনি পরম দয়ালু। তাঁর দয়ারই ইশারা এই সবকিছু।
সংস্থার মালিকপক্ষের এমন অনুরোধে কোনো প্রকার বিনিময় ব্যতিতই সেই বিশাল মার্বেল পবিত্র মসজিদে নববীর উন্নয়ন কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার গোপন ইশারা বুঝার সাধ্য কার। তিনি হয়তো চেয়েছিলেন যে, বাইতুল্লাহ অর্থাৎ, কাবা শরিফে যে মার্বেল ব্যবহার করা হয়েছে একই মার্বেল তাঁর প্রিয়তম হাবিব সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পবিত্র মসজিদে নববীতেও ব্যবহৃত হোক। আর এ কারণেই হয়তো তিনি প্রতি মুহূর্তের এমন ঘোর অনিশ্চয়তার মাঝেও সবকিছুর সঠিক ব্যবস্থাপনা করে দিয়েছেন মিশরীয় ইঞ্জিনিয়ার ড. মুহাম্মদ কামাল ইসমাঈল রহিমাহুল্লাহর মাধ্যমে।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com