আন্তর্জাতিক রিপোর্ট, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: অ্যাডিনোভাইরাসের প্রকোপ নতুন কিছু নয়, তবে কলকাতায় এবারের পরিস্থিতিকে ধরা হচ্ছে ‘গুরুতর’। এ রোগের লক্ষণও অনেকটা কোভিডের মত; সর্দি, কাশি, জ্বর, পেটের সমস্যা বা বমি বমি ভাব। তবে পরিস্থিতির অবনতি ঘটে দ্রুত। আক্রান্ত হতে পারে শ্বাসনালী, ফুসফুস। ভাইরাসটি নিয়ে কলকাতায় যে উদ্বেগ আর স্বাস্থ্য প্রশাসনের যে কড়া সতর্কতা, তার ছিটেফোঁটাও নেই বাংলাদেশে। করোনাভাইরাস না যেতেই আরেক ভাইরাসের প্রকোপে বিপাকে কলকাতা। আক্রান্তদের বেশিরভাগই শিশু, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪০। হাসপাতালগুলো রোগীতে ঠাসা; লাগছে ভেনটিলেশন, আইসিইউ।
অ্যাডিনোভাইরাসের প্রকোপ নতুন কিছু নয়, তবে কলকাতায় এবারের পরিস্থিতিকে ধরা হচ্ছে ‘গুরুতর’। এ রোগের লক্ষণও অনেকটা কোভিডের মত; সর্দি, কাশি, জ্বর, পেটের সমস্যা বা বমি বমি ভাব। তবে পরিস্থিতির অবনতি ঘটে দ্রুত। আক্রান্ত হতে পারে শ্বাসনালী, ফুসফুস। শীতের বিদায়ে বসন্তের আগমনে ঠাণ্ডা-গরমের মেলবন্ধনে কমবেশি সর্দি-কাশি-জ্বরে আক্রান্ত হয় অনেকেই। কিন্তু চলতি মৌসুমে কলকাতায় এই ঠাণ্ডা-কাশির সঙ্গে দোসর হয়ে এসেছে প্রাণঘাতী অ্যাডিনোভাইরাস। যা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে শিশুদের মধ্যে। শহরে বিভিন্ন শিশু হাসপাতালে আক্রান্ত শিশুদের ভিড় বাড়ছে। ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুদের ফুসফুস, এমনকী ফেটে যাচ্ছে ফুসফুসের প্রাচীর।
চিকিৎসকরা বলছেন, অ্যাডিনো আক্রান্ত শিশুর উপসর্গ মূলত সর্দি-কাশি-জ্বরের সঙ্গে চোখ লাল হয়ে যাওয়া, ডায়েরিয়া, বমি, পেটব্যথা এবং ফুসফুসে সংক্রমণে শ্বাসকষ্টের সমস্যা। এক থেকে চার বছরের শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এই ভাইরাসে। শুধু শিশুরা নয় বাদ যাচ্ছেন না বয়স্করাও। বড়দের শ্বাসনালীর উপরিভাগ বেশি সংক্রমিত হচ্ছে। তারা হালকা জ্বর এবং মাথাচাড়া দিচ্ছে শুকনো কাশির সমস্যা। তাই বিপদ এড়াতে কোভিডের মতোই এক্ষেত্রেও মাস্ক পরার পাশাপাশি ভিড় এড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। বয়স্কদের ক্ষেত্রে অন্যান্য উপসর্গের কোভিড যেমন মারাত্মক আকার নিয়েছিল তেমনই সমস্যা বাড়াচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com