বিনোদন প্রতিবেদক, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: পরীমনির নাম শুনতেই অনেকেই হুমড়ি খেয়ে পড়েন পাঠক।তবে কেনই বা পড়বেননা। বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে দুর্ধর্ষ কথা ও সাহস দেখানোর তালিকায় পরীমনি যে প্রথম এতে বিন্দু সন্দেহ নেই। ২০১৫ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেকের পর অভিনেত্রী হিসেবে পেয়েছেন নানা সম্মাননা-পুরস্কার। সম্প্রতি তার প্রাপ্তির ঝুড়িতে যুক্ত হয়েছে তেমনি আরও একটি সন্মানজনক পুরস্কার। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম ‘আনন্দবাজার অনলাইন’-এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘বছরের বেস্ট সন্ধ্যা’য় সেরা অভিনেত্রী পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনি। বিষয়টি নিয়ে সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী। এদিন দুপুরের সেই সন্মাননা অনুষ্ঠানের বেশ কিছু ছবি পোস্ট করে পরীমনি লেখেন, ‘এটা সত্যিই আমার জন্য একটি সম্মান এবং মর্যাদাপূর্ণ অর্জন। আমার শুভাকাঙ্ক্ষী, দর্শক ভক্তকুল এবং অনুসারী যারা রয়েছেন, আপনাদের ভালোবাসার জন্যে আজ আমি এখানে দাঁড়িয়ে। আপনাদের এই ভালোবাসার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। সংবাদমাধ্যটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও লেখেন, ‘আনন্দবাজার অনলাইনকে ধন্যবাদ।
আপনাদের আতিথেয়তা মনে থাকবে আমার। প্রিয় কলকাতা আমি তোমাকে ভালোবাসি। এর আগে গত শনিবার সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, পুরস্কার নিতে মঞ্চে উঠে অভিনেত্রীর মত, চলচ্চিত্র শিল্পে আরও এক হয়ে কাজ করা উচিত দুই বাংলার। পরীমনির কথায়, ‘ ২ বাংলার সিনেমা দু’জায়গাতেই দেখানো উচিত।’দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে পরীমনিকে নিয়ে উৎসাহ গড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। কলকাতার কোনো সিনেমায় এখনও অভিনয় করা না হয়ে উঠলেও ব্যক্তিগত কাজে প্রায়ই কলকাতায় যান অভিনেত্রী। তিনি জানান, আগে এই শহরকে ‘বিদেশ’ মনে হলেও এখন আর তা হয় না। টান এখন এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, ফ্লাইটও মিস করেছেন! তার কথায়, কলকাতাকে আগে বিদেশ মনে হত। এখন হয় না। এ রকমও হয়েছে, আমার ফ্লাইট আজ। কিন্তু আমি ২/৫ দিন পরে গিয়েছি। পরীমনির হাতে পুরস্কার তুলে দেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম এবং অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। বাংলাভাষী মানুষদের মধ্যে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বছরজুড়ে সাফল্যে যারা নজর কাড়েন, প্রতি বছর ‘বছরের বেস্ট’ অনুষ্ঠানে তাদেরই পুরস্কৃত করে আনন্দবাজার অনলাইন। শিক্ষা, প্রযুক্তিতে, বিজ্ঞান, বিনোদনসহ বিভিন্ন অঙ্গনের কৃতী ১০ জনকে দেয়া হয় এই পুরস্কার।
জন্মদিনের পার্টিতে লুঙ্গি পরা প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘ওই আমি সারাদিন ফুলস্লিভ ব্লাউজ-শাড়ি পরলাম, এতিমখানায় গেলাম। তাদের সঙ্গে সময় কাটালাম। অনক্যামেরা করলাম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিলাম এটা কেউ দেখল না। এটাতে তাদের আগ্রহ নেই। অথচ সন্ধ্যার পর আমি কী করলাম, রাতে আমি করলাম, লুঙ্গি পড়লাম নাকি হাফ প্যান্ট পড়লাম সেটাতে মানুষের আগ্রহ। এটা আমি কিভাবে ঠেকাব।’
পরীমণি বলেন, ‘আমার ওই পার্টিটা ছিল একেবারে পারসোনাল। আমার কাছের মানুষদের নিয়ে পার্টিটা করেছিলাম। পার্টিটা শেষ করলাম, শুটিং শেষ করে বাসায় আসলাম। বাসায় দেখলাম তোমরা লুঙ্গির মধ্যে আটকে আছ কেন ? আমি তো এত কাজ করে আসলাম, তোমরা সেই এক জায়গাতেই। আর কোনো কাজে নেই।’
তিনি বলেন, ‘যখন আমি বলি আমার একটা সিনেমা রিলিজ হচ্ছে, এই সিনেমাটা সুন্দর, আপনারা দেখবেন, উপভোগ করবেন, আপনাদের ভালো লাগবে, আপনাদের জন্যই সিনেমাটা। সেটা দেখতে চায় না। তারা কি দেখতে চায়-পরীমণির ঘরে কি হয়েছে, রাজের সঙ্গে কী হয়েছে।’
অভিনেত্রী পরীমণি বলেছেন, মানুষের কোনো কিছু আটতে রাখা যায় না। ভালো কাজের প্রতি তাদের আগ্রহ নেই। আমার ঘরে কি হল, রাজের সঙ্গে কি ঘটল, আমি হাফ প্যান্ট পড়লাম নাকি লুঙ্গি পড়লাম তাতেই মানুষের আগ্রহ বেশি।
সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ সব কথা বলেন। এ বছর আনন্দবাজার অনলাইনের বছরের সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান পরীমণি। সেই পুরস্কার নিতে কলকাতা যান পরীমণি।
সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবে পরীমণি বলেন, ‘একটা ব্রেকআপের পর আরেকটা প্রেম করব। এই বয়সে প্রেম করব না তো কি করব। আমার মনে হয় সবাই সেটা করে। তবে কেউ বলে, আর কেউ বলে না। একটা ব্রেকআপ হলে সবাই জানে। তখন মন খারাপ হয়।’
International News Source & Ref : CNN। BBC। AL-Jazira। AP। NY TIMES । Google News। Yahoo news । Bing
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com