নওগাঁ সাপাহার উপজেলার ৪নং ব্যারাক ২নং রুম রামরামপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা সমির উদ্দীন জানান, সে একজন অসহায় গরীব মানুষ। বিভিন্ন মানুষের খাবারের হোটেলে কাজ করে জীবন যাপন করছেন । প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা নিজে আমার হাতে ঘরের চাবিটি দিয়েছিলেন ১৯৯৮ সালে। এরপর শান্তিতে বসবাস করছিলাম । এই ঘরটি ছাড়া আল্লাহর দুনিয়ায় এক ফোটা জায়গা-জমি নেই আমার । সেই ঘরটি মামুর উদ্দীন কেড়ে নিয়েছেন।
মামুর উদ্দীন একজন স্থানীয় ধনী ব্যাক্তি। স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথে তার রয়েছে উঠাবসা । সেই সাথে রয়েছেন মাদক ব্যবসায় জড়িত। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার হন, আবার ছাড়াও পায়।
ভুক্তভোগী সমির উদ্দীন আরো বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দিয়ে মেলে না কোন প্রতিকার। এখন বিধবা মাকে নিয়ে মানুষের জমিতে রয়েছি। শুনছি আমার লিজ বাতিল করে ঘরটি অন্য কাউকে দিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সার্বিক বিষয়ে অভিযুক্ত মামুর উদ্দীন এর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করা হলেও তার কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয়রা মামুর উদ্দীনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে ভয় পায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি সূত্র জানায়, সমাজের বিভিন্ন অপকর্মের সাথে মামুর জড়িত আছে। পুলিশসহ বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহীনি তাকে একাধিকবার আটক করেছে। কিন্ত কোন এক ক্ষমতার বলে সে ছাড়া পেয়ে যায়।
ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম জানান, আমার ঘরটিও জোর করে দখল করেছেন তারা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দিয়ে মেলেনি প্রতিকার। আবেদন জমা দিলেও অফিস কর্তৃপক্ষ রিসিভ কপি দেন না।
উল্লেখ্য যে, সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ হোসেন উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের প্রতিবেদককে জানান, উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সিদ্ধান্তে যা হবে, তাই করা হবে। লিজ বাতিল করার বিষয়টি কাগজ কলমের ব্যাপার। ওই সকল ঘরের মালিক তারা কিন্ত তারা কেন ঘর ছেড়ে দিয়েছেন। এই বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com