a-teacher-punched-a-student-in-rajshahi
রাজশাহীতে ছাত্রীকে ঘুষি বসালেন শিক্ষিকা

রাজশাহীতে ছাত্রীকে ঘুষি বসালেন শিক্ষিকা

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন ::  রাজশাহীতে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ছাত্রীর গালে ঘুষি মেরে ফুলিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনটাই খবর প্রকাশ করেছে রাজশাহীর স্থানীয় নিউজ পোর্টাল সিল্কসিটি নিউজ।

 

ঐ প্রতিবেদনে বলা হয় – উক্ত ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট অভিযোগ দেওয়া হলেও তিনি অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেননি। পরে ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিভাবক রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন।

 

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শ্রীমতি নেহা রানী (১৪) লক্ষীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। গত ২৬ জুলাই শ্রেণিকক্ষে বেঞ্চে বসা নিয়ে অন্য সহপাঠীর সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে ওই সহপাঠী শিক্ষিকা নাজমা খাতুনকে বিষয়টি জানায়। এতে শিক্ষিকা নাজমা খাতুন ছাত্রী নেহা রানীর সঙ্গে চরম রাগান্বিত হন। শেষে তিনি শিক্ষার্থী নেহা রানীর মুখে ঘুষি মারেন। 

 

এতে নেহা রানীর চোখের নিচে জখম হয়। পাশাপাশি ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই শিক্ষার্থী। পরে নেহার বাবা মাসুম লাল খবর পেয়ে বিদ্যালয় থেকে মেয়েকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যান।

 

পরের দিন ২৭ জুলাই নেহা রানীর মা নাজমা খাতুনের সঙ্গে দেখা করেন। এতে অভিযুক্ত শিক্ষিকা নাজমা খাতুন আরও রেগে যান। পাশাপাশি অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজসহ নিচু জাতের (হরিজন সম্প্রদায়ের) মানুষ বলে ভর্ৎসনা করেন। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।

 

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়। তিনি অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেননি। পরে ওই ছাত্রীর বাবা মাসুম লাল রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেন। এছাড়া রাজপাড়া থানায় গিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

 

জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইরিন জাফর উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমি পদক্ষেপ নেইনি এ বিষয়টি সত্য নয়। অভিভাবকের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। কমিটির রিপোর্ট পেলে তারপর সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

 

অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষিকা নাজমা খাতুন উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে বলেন, ‘দুই ছাত্রীর মধ্যে গণ্ডগোল চলছিল। আমি দুইজনকেই নিবৃত্ত করি। তাকে ঘুষি মারা হয়নি। ওরা নিজেরা হাতাহাতির সময় এমনটি হয়ে থাকতে পারে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি মিথ্যা।’

 

এদিকে রাজশাহী রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে বলেন, ‘থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।’


Ref:  BSS  UP   PNS  BNA  UNB   dbcnews   Google News  Yahoo news   Bing news


উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.