আদালত প্রতিবেদক, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: ১ দিনে রেকর্ড ১ হাজার ৪৯৮টি জামিন আবেদনের নিষ্পত্তি করেছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এসব জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চের একদিনে এতগুলো জামিন আবেদন নিষ্পত্তির নজির এটাই প্রথম।
আবেদনকারী অভিযুক্তরা আগে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়ে জামিনের অপব্যবহার করেননি উল্লেখ করে বেঞ্চ এসব জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন। সেই সাথে আবেদনকারীরা আগে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে থাকলেও, এবার স্থায়ী জামিন পেলেন।
আবেদনকারীদের বেশিরভাগের আইনজীবী আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না এবং এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেননি।
এর আগে হাইকোর্ট বেঞ্চের বিচারকরা ১ হাজার ৪৯৮টি আবেদনের প্রাসঙ্গিক নথি পরীক্ষা করেন এবং পরে আদেশের জন্য আজকের কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
একাধিক জামিন আবেদনের প্রতিটিতে একাধিক আসামি জামিন পেয়েছেন। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এসব আবেদন নিষ্পত্তি করেছেন।
একই বেঞ্চ আগামীকাল বৃহস্পতিবার ১ হাজারের বেশি আবেদনে একই ধরনের আদেশ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, নারী ও শিশুদের ওপর ছিনতাই নির্যাতন, অপহরণ, ছিনতাই, মানব পাচার ও মাদকাসক্তিসহ ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের (বর্তমানে আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি) তৎকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ ১ দিনে প্রায় ১ হাজার ২০০টি জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করেছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুল ইসলাম নিউজ পোর্টাল উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে জানান, এগুলো ছোট ছোট মামলা এভাবে নিষ্পত্তি করে দিতে পারলে বিচারাধীন মামলাজট কমে আসবে।
গত ১৭ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী দীর্ঘদিন ধরে বিচারাধীন জামিন আবেদন নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সরওয়ার কাজলের সমন্বয়ে ১৩টি হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠন করেন।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com