গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির সদর দপ্তরে আজ এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। কীভাবে সেতুর নাটবল্টু খোলা হলো, তা নিয়ে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন। তবে সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ প্রশ্নটি এড়িয়ে যান।রেজাউল মাসুদ বলেন, ‘পদ্মা সেতুর নাটবল্টু হাত দিয়ে খোলা সম্ভব নয়। আমরা সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও আলোচনা করে জেনেছি, এত বড় একটা স্থাপনার নাটবল্টু হাত দিয়ে খোলা যাবে না।’ নাটবল্টু খুলতে সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানান সিআইডির এ কর্মকতা। তবে কী ধরনের সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছে, তা বলতে পারেননি তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে রেজাউল মাসুদ বলেন, গ্রেপ্তারের পর ওই যুবক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাটবল্টু খোলার কথা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি কীভাবে এ কাজটি করেছেন, সে বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য দেননি। তাঁরা একটি গাড়ি নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন। ওই গাড়িতে কায়সার নামের আরেকজন ছিলেন। তাঁদের টিকটক আইডি রয়েছে। নাটবল্টু খোলার ৩০ থেকে ৩৫ সেকেন্ডের ভিডিওটি কায়সারের আইডি থেকে আপলোড করা হয়। এর এক ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে শনাক্ত করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আর কী জানা গেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে রেজাউল মাসুদ বলেন, ‘সবকিছু বিবেচনায় আমরা মনে করছি, এই কাজটা তিনিই করেছেন। তাঁর একটা পরিকল্পনা ছিল। বাকিটা তদন্তে আসবে। এখানে অপরাধের ইনগ্রেডিয়েন্স আছে। তাঁর আগের কর্মকাণ্ড সব আমরা দেখছি। আপনারা যে ভিডিও দেখেছেন, তার বাইরেও কিছু ভিডিও আমরা পেয়েছি।’ পদ্মা সেতুর কোনো কাজে ত্রুটি থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো উচিত বলে মনে করেন সিআইডির এই কর্মকর্তা। বলেন, ‘তালহা যেটাকে পুঁজি করে ভিডিও করে ভাইরাল করেছেন এবং মানুষের অনুভূতি বা ইমোশনকে আঘাত দিয়েছেন, আমাদের কাছে মনে হচ্ছে, এটা অনেক বড় অপরাধ।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাটবল্টুর ভিডিওটি ছড়িয়ে বায়েজিদ মূলত পদ্মা সেতু নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছেন উল্লেখ করে রেজাউল মাসুদ বলেন, এই ভিডিও প্রচারের মাধ্যমে বায়েজিদ তালহা মানুষের অনুভূতি ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন। এটা অন্তর্ঘাতমূলক অপরাধ।
মামলার এজাহারে কী কী আলামত দেখানো হয়েছে জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা বলেন, তাঁর (বায়েজিদ তালহা) কাছ থেকে ডিভাইস ও মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলো মামলার আলামত হিসেবে দেখানো হয়েছে। তবে নাটবল্টু এখনো উদ্ধার করা হয়নি। সে কারণে মামলায় এগুলো আলামত হিসেবে দেখানো হয়নি। এগুলো উদ্ধার সাপেক্ষে পরবর্তী সময়ে আলামত হিসেবে দেখানো হবে।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com