4 arrested in cyber case including chairman of Rajshahi Durgapur Pananagar
সাইবার মামলায় রাজশাহী দুর্গাপুর পানানগরের চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার ৪

সাইবার মামলায় রাজশাহী দুর্গাপুর পানানগরের চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার ৪

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ।। উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন ::   রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পানানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

 

রোববার রাজশাহীর অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আসামী পক্ষের আইনজীবীদের করা জামিন আবেদনে সন্তুষ্ট না হয়ে আসামীদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

 

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুর্গাপুর থানায় দায়ের হওয়া এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন আসামীরা। এই মামলার আসামীরা হলেন, পানানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাহার আলী খান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদ্য ঘোষিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক কহিদুল ইসলাম, পানানগর দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আবু এমদাদুল হক ও স্থানীয় ব্যবসায়ী মাহাবুর রহমান লাল্টু।

 

অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলার পানানগর দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মনোনয়ন নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রফেসর ডা. মনসুর রহমানের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে অশালীন মন্তব্য করেন আসামীরা।

 

এর প্রেক্ষিতে সাংসদ ডা. মনসুর রহমানের ব্যাক্তিগত সহকারী শফিকুল ইসলাম তরফদার বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গত ৩০ জানুয়ারি দুর্গাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের হওয়ার পর আসামীরা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন।

 

এ মামলার মুল আসামী ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার আলী খান উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তার ছোটভাই সেলিম রেজা খান ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক সভাপতি। চারদলীয় জোট সরকারের শেষদিকে আজাহার আলী খান আওয়ামী লীগে যোগদান করেছিলেন। মামলার ২ নম্বর আসামী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পকেট কমিটি খ্যাত সদ্য সাধারণ সম্পাদক।

 

অভিযোগ রয়েছে, এ মামলার মূল আসামী সহ অন্যান্য আসামীরা উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিয়ে এলাকায় এসে আওয়ামী লীগ নেতাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছিলেন। মামলা প্রত্যাহার না করা হলে কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকীও দেন আসামীরা।

 

এমন অভিযোগ এনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আদম আলী তাঁর নিজের এবং ওই এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত শনিবার রাজশাহী  দুর্গাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এ বিষয়টিও বিজ্ঞ আদালতের নজরে আনা হয়েছে।

 

আদালত সূত্রে জানা যায়, এ মামলায় গত ৩১ মার্চ নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণের দিন ধার্য থাকলেও আসামীরা এদিন আদালতে হাজির হননি। রোববার আদালতে হাজির হয়ে আসামীরা আইনজীবীর মাধ্যমে স্থায়ী জামিনের আবেদন জানালে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ও অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইকবাল বাহার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়ে পিডাব্লিউ মুলে আসামীদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

 

আসামী পক্ষের হয়ে জামিন শুনানিতে অংশ নেন এ্যাড. সবুর খান। রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাড. আব্দুল ওয়াহাব জেমস ও এ্যাড. আহসান হাবীব রঞ্জু। বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাড. জালাল উদ্দিন।

 


উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.