তবে উল্লেখ থাকে যে, প্রবেশনের শর্ত পূরণ না হলে এবং কর্মকর্তার প্রতিবেদন সন্তোষজনক না হলে তাদের মামলার নির্ধারিত সাজা ভোগ করতে হবে। রাজশাহীর আদালতে আগেও এ ধরনের ব্যতিক্রমী আদেশ দেয়া হলেও একসাথে এত বেশিজনকে এবারই প্রথম এ ধরনের সুবিধা দেয়া হলো বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে রাজশাহী আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নাসরিন আখতার মিতা আরো জানান, বিকল্প পন্থায় তাদের সংশোধনের সুযোগ দিয়েছেন আদালত। সারা দেশেই এখন এ ধরনের প্রবেশন হচ্ছে। রাজশাহীর বাঘা, চারঘাট, পুঠিয়া, দুর্গাপুর, বাগমারা, পবা ও মোহনপুর উপজেলায় ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এই ৩০টি মামলা হয়। মামলার মোট ৩৭ শিশু আসামির মধ্যে রায় ঘোষণাকালে আদালতে ২৬ জন উপস্থিত ছিল। এর মধ্যে ২৫ জন ছেলে ও একজন মেয়ে। মাদকদ্রব্য বহন, মারামারি, যৌন হয়রানি ও ধর্ষণ চেষ্টাসহ বিভিন্ন লঘুদণ্ডের মামলা রয়েছে এদের বিরুদ্ধে। রায় ঘোষণাকালে ১১ জন অনুপস্থিত থাকলেও আদেশ সবার জন্য প্রযোজ্য হবে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নাসরিন আখতার মিতা আরোও বলেন, সবার জীবনেই এটি প্রথম মামলা ছিল। আর কোনো দিন অপরাধে জড়াবে না শপথ পাঠসহ, ভালো কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রায় কার্যকরের এ বিষয়টি সমাজসেবা অধিদফতরের প্রবেশন কর্মকর্তাকে দেখভাল করতে বলা হয়েছে। শিশুরা আগামী ছয় মাস তার পর্যবেক্ষণে থাকবে। প্রবেশন কর্মকর্তা দু‘মাস পর পর আদালতে প্রতিবেদন দেবেন। আগামী বছরের ১৫ মে শিশুরা আদালতে হাজির হবে। ওইদিন প্রবেশন কর্মকর্তার প্রতিবেদন দেখে আদালত মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করবেন।
রাজশাহী সমাজসেবা অধিদফতরের প্রবেশন কর্মকর্তা মতিনুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, সাজা না দিয়ে বিকল্প পন্থায় এসব শিশুদের সংশোধনের সুযোগ দিয়েছেন আদালত। শিশুদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আদালত একটি ভালো আদেশ দিয়েছেন।
আদালত বলেছে, শিশুরা ভালোভাবে চলাফেরার পাশাপাশি দুটি করে ভালো কাজও করবে। কে কোন ভালো কাজ দুটি করবে তা ওই শিশুদের অপরাধের ধরন দেখে ঠিক করে দেয়া হবে বলেও আদেশে জানানো হয়।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com