নিজস্ব প্রতিবেদক, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: সারাদেশেই ছড়িয়ে পড়েছে এই অনলাইন ক্যাসিনো। তবে এসব ক্যাসিনোর মালিক কারা বা কোথা থেকে পরিচালিত হচ্ছে, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে কোনো তথ্য নেই। এসব অ্যাপের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে কারিগরি সক্ষমতার অভাব রয়েছে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের। তারা বলছে, বিদেশ থেকে অনলাইন ক্যাসিনো পরিচালিত হওয়ায় এগুলো ঠেকানো সহজ নয়।
এরই ধারাবাহিকতায় জনপ্রিয় ইউটিউবার এবং টিকটকারদের টার্গেট করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অনলাইন জুয়ার প্রমোশনাল বিজ্ঞাপন ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে সর্বত্র । তাই এ সকলের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে দেশের ৩ ইউটিউবারকে। গ্রেফতারের পরেই গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, এসব বিজ্ঞাপনের ফলে জুয়ায় আসক্ত হচ্ছে কিশোর ও তরুণরা। একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে, ইউটিউবের বিভিন্ন কন্টেন্টে প্রদর্শিত হচ্ছে জুয়ার বিজ্ঞাপন। ক্রিকেক্স নামে জুয়ার সাইটটি ভিডিওটির স্পন্সর। হামিদ মালস নামে একটি চ্যানেলে আপলোড করা হয়েছে ভিডিওটি। এরকম অসংখ্য ইউটিউব চ্যানেলে দেয়া হচ্ছে জুয়ার বিজ্ঞাপন। অথচ দেশের প্রচলিত আইনে এসব বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ। এ বিষয়ে হাইকোর্টেরও রুল রয়েছে।রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় তিন ইউটিউবারকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
এ ৩ জনের মধ্যে একজন প্রত্যয় হিরন, ইউটিউবে তার চ্যানেলের নাম দ্য আজাইরা লিমিটেড; আরেকজন আবদুল হামিদ, চ্যানেলের নাম হামিদ মালস। পুলিশ বলছে, ভারতীয় বিভিন্ন জুয়ার সাইটের বাংলাদেশে রয়েছে এজেন্ট। দেশের জনপ্রিয় ইউটিউবার এবং টিকটকারদের টার্গেট করে তাদের চ্যানেলে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে জুয়ার প্রমোশনাল বিজ্ঞাপন দেয় তারা। দেশের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের (উত্তর) উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ বলেন, ‘আজাইরা লিমিটেডের অনলাইন ওয়েব সিরিজ আছে বদমাইশ পোলাপান। তারা এ সিরিজের প্রতিটি পর্বের বিভিন্ন স্লটে জুয়ার বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। তাদের গ্রেফতারের পর জানতে পারি, অনলাইন জুয়াড়িরা দেশের বাইরে থেকে সব পরিচালনা করে। ভারতীয় এজেন্টের মাধ্যমে দেশের জনপ্রিয় ইউটিউবারদের টার্গেট করে বিজ্ঞাপন প্রচার করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করা বিভিন্ন ভিডিওতে অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপন দেখে কিশোর-তরুণরা বেটিং সাইটে আসক্ত হচ্ছে বলেও জানান ডিবির এ কর্মকর্তা। এর ফলে তাদের মধ্যে বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা। এ ধরনের আরও একাধিক ইউটিউব চ্যানেলে নজরদারি অব্যাহত রেখেছে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com