রায়ে আদালত অন্য সাতজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করা যায়নি। দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চক নারায়ণপুর গ্রামের হৃদয় আলী (২১) এবং নাটোরের লালপুর উপজেলার বিরোপাড়া গ্রামের আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ (২৫)।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত ২ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি ধারায় আসামিদের পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অপর একটি ধারায় দুজনকে একই ধরনের সাজা দিয়েছেন আদালত। অর্থাৎ, দুটি ধারায় মোট ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং ২ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে আসামিদের। সাজা একটার পর অন্যটা কার্যকর হবে।
আইনজীবী ইসমত আরা জানান, ঢাকার সবুজবাগের আবদুল মালেক নামের এক ব্যক্তি এ মামলার বাদী। ২০২৩ সালের ২ মার্চ নাটোরের লালপুর থানায় তিনি এ মামলা করেন। মামলার অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তার ভগনীপতি জাকির হোসেন সৌদি আরব প্রবাসী। স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের সঙ্গে তিনি সামাজিক মাধ্যম ইমোতে যোগাযোগ করতেন। ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি দুর্বৃত্তরা জাকির হোসেনের ইমো হ্যাক করে ফাতেমাকে তার বিপদের কথা জানায়। এরপর ফাতেমার কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৫৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
আবদুল মালেক খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, যে বিকাশ নম্বরে টাকা নেওয়া হয়েছে তা রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় নিবন্ধিত। বিষয়টি তিনি র্যাবকে অবহিত করলে র্যাব এ প্রতারণার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে। পরে পাঁচজনকে র্যাব আটক করলে মালেক বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিলেন।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com