আরএমপি পুলিশ জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানার মনিরুল ইসলামের খেলনার দোকান থেকে বাচ্চাদের খেলনা নিয়ে জসিম (১৩) ও মারুফ (১২) নামের দুই শিশু রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করতো। বৃহস্পতিবার তারা খেলনা নিয়ে চন্দ্রিমা থানার মুশরইল মানিক শাহ মাজার এলাকার ওরশের মেলায় খেলনা বিক্রি করে বাড়ি ফিরছিল। দুপুর ২টার দিকে শাহমখদুম থানার উত্তর নওদাপাড়া সিটি হাট মোড়ে তারা পৌঁছলে ৪টি মোটরসাইকেল ৭-৮ জন অপহরণকারী তাদের পথরোধ করে জোরপূর্বক ভুটভুটিসহ তাদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর শিশু জসিমের মোবাইল ফোন থেকে দোকানের মালিক মনিরুলের মোবাইল ফোনে অপহরণের কথা জানায়। অপহরণকারীরা মুক্তিপণ হিসেবে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে এবং টাকা নিয়ে সিটি হাট মোড়ে আসতে বলে।তাদের কথামত মনিরুল ইসলাম সিটিহাট মোড়ে এসে শিশু জসিমের মোবাইল ফোনে কল করলে অপহরণকারীরা মনিরুলকে খড়খড়ি যেতে বলে। মনিরুল খড়খড়িতে গেলে আবার তাকে রামচন্দ্রপুরে যেতে বলে। এইভাবে তারা বারবার তাদের স্থান পরিবর্তন করতে থাকে। মনিরুল ইসলামের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজশাহী শাহমখদুম থানায় একটি মামলা রুজু হয়।
এরপর পুলিশের একটি দল অভিযুক্তদের গ্রেফতারসহ শিশু ২দুজনকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ২টায় আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহায়তায় শাহমখদুম থানা পুলিশের দলটি পবা থানার ভালাম (ভবানীপুর) গ্রামে মতি ভিলায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে চার অপহরণকারীকে গ্রেফতার এবং অপহৃত শিশু জসিম ও মারুফকে উদ্ধার করা হয়। এসময় অপরহণের কাজে ব্যবহৃত তিনটি মোটরসাইকেল ও শিশুদের খেলনাসহ ভুটভুটি উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com