নিজস্ব প্রতিবেদক, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: রাজশাহীতে ক্রেতার কাছ থেকে অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ায় জরিমানা গুণেছে আড়ং। প্রতিষ্ঠানটির রাজশাহী আউটলেটকে সোমবার পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ।
তিনি জানান, গত ২১ এপ্রিল আড়ংয়ের রাজশাহী আউটলেট থেকে একটি পায়জামা কেনেন ইসতিয়াক আহমেদ নামের এক ক্রেতা। মূল্যের ট্যাগে এর দাম ছিল ৫৪৪ টাকা। কিন্তু কাউন্টারে দাম রাখা হয় ৫৭৬ টাকা। এ নিয়ে গত ১১ মে ভোক্তা অধিকারে অভিযোগ করেন ক্রেতা।
এরপর সোমবার দু’পক্ষের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানির সময় আড়ংয়ের রাজশাহীর ব্যবস্থাপক বেশি টাকা নেওয়ার অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, এটা ভুল হয়েছে। তবে আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী জরিমানার অর্থের ২৫ শতাংশ হিসেবে ১ হাজার ২৫০ টাকা পেয়েছেন অভিযোগকারী।
এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক রাজশাহীতেও ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। বেঁধে দেওয়া ৭২ ঘণ্টা সময়ের শেষ দিন রোববার। গতকাল রোববার রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলা ও মহানগর এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়।
এরমধ্যে মহানগর এলাকায় অভিযানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে নিয়ে অভিযান চালিয়েছে সিভিল সার্জনের কার্যালয়। অন্যদিকে পবা উপজেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অভিযান চালিয়েছেন। তিনি একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছেন।
অন্যদিকে মহানগরে অভিযানে দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) ওসমান গনী ও জেলা সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. আব্দুর রাকিব ও জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শহিদুল ইসলাম এ অভিযান চালান।
হাসান-আল-মারুফ জানান, মেয়াদ উত্তীর্ণ রিএজেন্ট ব্যবহার করার অপরাধে অভিযানে ঘোষপাড়া মোড় এলাকার ‘মেট্রো ডায়াগনস্টিক সেন্টার’কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া ধার্যকৃত মূল্যের চেয়ে বেশি টাকা আদায় করা ও মেয়াদ উত্তীর্ণ রিএজেন্ট ব্যবহার করার অপরাধে সিপাইপাড়া এলাকার লাইফ সাইন ল্যাব অ্যান্ড ইমেজিং সেন্টারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পবা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাবেয়া বাসরী রোববার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থিত ‘লাইফ কেয়ার ডিজিটাল সেন্টার’ নামের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেন। কোন ধরনের কাগজপত্র ছাড়াই এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি চালানো হচ্ছিল।
এছাড়া ডা. রাবেয়া বাসরী আরও ৭টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করেন। এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্সের নবায়ন করা নেই। লাইসেন্স নবায়ন করতে তিনি ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে ১৫ দিন সময় দেন।
রাজশাহীর ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. রাজিউল হক জানান, রাজশাহীতে ৪২০টি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। বেশিরভাগেরই লাইসেন্সের মেয়াদ নেই। পরিদর্শন করে লাইসেন্স নবায়ন করে দেওয়া সম্ভব হয়নি। যারা লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করে রেখেছেন তাদের বিরুদ্ধে আপাতত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। আর যাদের লাইসেন্স নেই কিংবা অনেক আগে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.........................................................................
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com