শিক্ষা বিষয়ক প্রতিবেদক, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: বাংলাদেশে বিগত ২ বছরে প্রাথমিকের ১৮ হাজার স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে বন্ধ হয়ে যাওয়া এসব স্কুলের সবগুলোই বেসরকারি। বিশেষ করে করোনার কারণে সাময়িকভাবে বেসরকারি পর্যায়ের এসব স্কুল বন্ধ হলেও পরবর্তীতে শিক্ষার্থী সঙ্কট কিংবা মালিকদের আর্থিক অনটনের কারণেই আবারো এসব প্রতিষ্ঠান চালু করা সম্ভব হয়নি।
সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের করা ২০২২ সালের বার্ষিক প্রাথমিক বিদ্যালয় শুমারিতে (এপিএসসি) এ তথ্য উঠে এসেছে। যদিও এই ১৮ হাজার স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়ে গতকাল সন্ধ্যায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহম্মেদ নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, গত ২ বছরে বন্ধ করা সবগুলো স্কুল ছিল মানহীন। ভালো মানের কিংবা সরকারি কোনো স্কুল বন্ধ হয়নি।
শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন সূত্র জানায়, করোনার পর ২০২১ ও ২০২২ সালে অন্তত ১৮ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বেশির ভাগ বেসরকারি প্র্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠান পরিচালনার খরচ জোগাতে না পারার কারণেই মূলত এসব বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সূত্র বলছে, বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশির ভাগই ২০২১ সালের দিকে করোনার ভয়াবহতার মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে এপিএসসি যে তথ্য দিয়েছে, সেখানে দেখানো হয়েছে গত দুই বছরে বিদ্যালয়ের সংখ্যা কমলেও গত এক বছরের ব্যবধানে প্রাথমিকে প্রায় সাড়ে চার লাখ শিক্ষার্থী বেড়েছে। র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে সরকারি ও বেসরকারি (কিন্ডার গার্টেনসহ) প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল ১ লাখ ৩৩ হাজার ২টি। ২০২১ সালে কমে হয় ১ লাখ ১৮ হাজার ৮৯১টি।
আর ২০২২ সালে তা কমে হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৩৯টি; যার মধ্যে সরকারি ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। অর্থাৎ দুই বছরের ব্যবধানে প্রাথমিক বিদ্যালয় কমেছে ১৮ হাজার ৪৬৩টি। যদিও অপর একটি সূত্র জানায়, গত বছর দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডার গার্টেন, এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয়, ইবতেদায়ী মাদরাসা এবং অন্যান্য বেসরকারি বিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল মোট ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৩৯টি। অবশ্য ২ বছরের ব্যবধানে ১৮ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ হওয়া নি:সন্দেহে খুবই উদ্বেগের।
তবে দেশের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহম্মেদ গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে জানান, বিদ্যালয় বন্ধ হলেও ভালো মানের কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়নি। মানহীন এবং ভূঁইফোড় কিছু স্কুল বন্ধ হয়েছে। এগুলোতে এমনিতেই পড়াশোনা হতো না। নানা ধরনের কৌশলে শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়ে এসব স্কুলে ব্যবসা করত।
এতগুলো প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়াতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাতে কোনো প্রভাব পড়ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, পড়াশোনাতে কোনো প্রভাব পড়বে না। কেননা শিক্ষার্থীরা আশপাশের ভালো স্কুলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে। একজন শিক্ষার্থীরও পড়াশোনায় কোনো ব্যাঘাত হবে না।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com