আন্তর্জাতিক ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: লিবিয়া সীমান্তের কাছে কৌরি বোগৌদিতে চাদের স্বর্ণখনিতে ভয়াবহ সংঘর্ষ। মৃত অন্তত ১০০ জন শ্রমিক। আহত কমপক্ষে ৪০। সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল দাউদ ইয়াইয়া ব্রাহিম।প্রশ্ন উঠছে, সোনার বখরা নিয়েই কি সংঘাতে জড়ায় শ্রমিকরা। উল্লেখ্য, চাদ ধর্মীয়ভাবে বিচিত্র দেশ। মধ্য আফ্রিকার একটি স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র। চাদকে "আফ্রিকার মৃত হৃদয়" বলেও মাঝে মাঝে অভিহিত করা হয়।
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, ২৩ মে লিবিয়া সীমান্তের কাছে কৌরি বোগৌদিতে ঘটনার সূত্রপাত হয়।
[caption id="attachment_94895" align="alignleft" width="400"] জেনারেল দাউদ ইয়াইয়া ইব্রাহিম[/caption]
জানান, দুই ব্যক্তির মধ্যে সামান্য তর্কাতর্কি থেকেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হয়। শ্রমিকদর মধ্যে ওই সংঘাতে এখনও পর্যন্ত প্রায় একশোজন শ্রমিক নিহত হয়েছে। চল্লিশ জন আহত হয়েছে বলে খবর। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী এনজামেনা থেকে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দূরে মধ্য সাহারার একটি অসম ও কার্যত আইনহীন এলাকা তিবেস্তি পর্বতমালায়।
এএফপি-কে ফোনে চাদের (Chad) প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ঘটনাস্থলে বিশাল সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, “এই প্রথমবার নয় যে এই অঞ্চলে সোনার খনি শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আপাতত আমরা সেখানে সমস্ত সোনার খনির কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
গত বুধবার ঘটনাটির কথা প্রথম প্রকাশ্যে আসে। চাদের যোগাযোগ মন্ত্রী আব্দেরামান কৌলামাল্লা একটি বিবৃতিতে বলেন যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছেন। এদিকে, নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে অত্যাধিক বলপ্রয়োগ ও হত্যার অভিযোগ উঠছে। সোমবার, এই অঞ্চলের এক বিদ্রোহী গোষ্ঠী, মিলিটারি কমান্ড রেসকিউ কাউন্সিল এক বিবৃতিতে বলেছে যে সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী “গণহত্যা” চালিয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রায় বছর দশেক আগে চাদের তিবেস্তি পর্বতমালায় সোনার খনি পাওয়া যায়। তারপরই চাদ এবং প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে সেখানে বিপুল হারে খনি শ্রমিকদের আগমন ঘটে। ফলে সেখানে শ্রমিকদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় এবং প্রায়শই পরিস্থিতি ঘোরাল হয়ে ওঠে৷ ইয়াইয়া ব্রাহিম জানিয়েছেন, এবার মরিটানিয়া ও লিবিয়ার শ্রমিকরা রক্তাক্ত সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। চাদের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান মহামাত নুর ইবেদু এএফপিকে বলেছেন যে লড়াই শুরু হওয়ার পরে সরকার বাহিনী পাঠিয়েছিল, তারাই মানুষের উপর গুলি চালায়।
[embed]https:\/\/preview-xupnewsc.uttorbongoprotidin.com//preview-xupnewsc.uttorbongoprotidin.com//youtu.be/LcXcvnMrceU[/embed]
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com