চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ফিরে আনোয়ার হোসেন :: করোনা ক্লান্তি লগ্নে পুলিশের ভাব-মূর্তি অনেকটা সমুন্নত হয়েছে বৈকী।
যে পুলিশ আতংক নামে পরিচিত সেই পুলিশ এখন আস্থার নাম।বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যদের জয় জয়কার।
কিন্তু কিছু কিছু পুলিশ সদস্য এমনও আছেন যাদের কারনে সমগ্র পুলিশ বাহিনীর এই সুনাম নিমিষেই ধূলিষ্যত হয়ে যায়।২০১৩ সালে দেশব্যাপী খুঁজে খুঁজে বের করা হয়েছিল বদমেজাজি পুলিশ কারা।এরপর ব্যবস্থা নেয়া হয় ঐ সকল পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে। এরপর ২০১৭ সালে তালিকা করা হয় দুর্নীতিবাজ পুলিশ অফিসারদের।তাদের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেয় কর্তৃপক্ষ।
সে যাই হোক, এখনও বেশ কিছু পুলিশ সদস্য আছেন যারা পুলিশের শ্রেষ্ঠ পদক পেয়েও দুর্নীতিতে নিমজ্জিত।তার অন্যত্তম উদাহারন হতে পারে ওসি প্রদীপ কিংনা ইন্সপেক্টর লিয়াকতের মত পুলিশ সদস্যরা।
আর সেই ধারাবাহিকতায় ওসি প্রদীপের উত্তরসূরি হিসেবে অবদান রাখছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ডিবির অন্যত্তম অফিসার এসআই আবু আবদুল্লাহ জাহিদ। অবশ্য প্রধানমন্ত্রী পদকও পেয়েছেন তিনি। তাইতো দেখতে দেখতে ৪টা বছর পার করে দিয়েছেন শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডিবিতে।হয়তো ৪ বছর থাকাটা সরকারী নীতিমালায় না থাকলেও কারো কারো আশীর্বাদে মদদপুস্ট হিসেবে রয়েই গেছেন চাপাই সীমান্তে।
কিন্তু এই ৪ বছরে তার অনেক কিছু অর্জন থাকলেও ঘুষ,দুর্নীতি ও গ্রেফতার বানিজ্য চালিয়ে গেছেন ঠিকই।
বানিজ্য -১
শিবগঞ্জ থানার মুসলিপুর বাজার হইতে আসামী মোঃ মহব্বত আলী (২৪) পিতামৃত-এনামুল হক সাং-আজমতপুর থানা-শিবগঞ্জ জেলা- চাঁপাইনবাবগঞ্জকে অদ্য ০২/৭/২০২০ তারিখ দুপুর ০১ঃ৩০ ঘটিকায় ০১ (এক) কেজি গাঁজাসহ আটক করা হয়। ওদের কাছে গাজা ছিল মোট ৪ কেজি।
বানিজ্য- ২
শিবগঞ্জ থানার মুসলিম পুর এলাকায় ১০/৪/২০ ইং তারিখে রাত আনুমানিক ৩ টার সময় মোট ১৮৬০ বোতল ফেন্সিডিল সহ তেলকুপি এলাকার মৃত বুদ্ধুর ছেলে রবুকে গেফতার করে এস আই জাহিদ এবং সকালে ছেড়া স্কুল এলাকার মৃত মঞ্জুরের ছেলে মহসিন ইসলাম কে তার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে এস আই জাহিদ।এবং তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য তার বড় ভাইয়ের কাছে তিন লক্ষ টাকা নেয়। কিন্তু পরবর্তিতে তাকে না ছেড়ে রবু ও মহসিন কে ৯০০ বোতল ফেন্সিডিল দিয়ে মামলা দেয়।
বানিজ্য – ৩
ঘটনার বিবরন: ১৭/০৭/২০২০ সন্ধ্যা আনু ৭/৮ টার সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর শিবগঞ্জ থানাধীন মুসলিমপুর মোড়ে মোটরসাইকেল যোগে ২ টি বস্তায় ৩৬০ বোতল ফেন্সিডিলসহ মসিউর ও অজ্ঞাত অপর একজনকে গ্রেফতার করা হয়।ধৃত আসামিরা আরও দুইজনের নাম বললে এসআই জাহিদ রাইসু নামের একজন কে গ্রেফতার করে এবং খালেক জোলহা নামের অপরজন কে ধরতে পারে না। পরে জাহিদের সোর্স নামে খ্যত আজমতপুর এর জিন্নাত মেম্বার,রাইসুকে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন এসআই জাহিদ।
কিন্তু খালেক জোলহা টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার নামে পলাতক মামলা দেয়া হয়।
এবার আসা যাক মূল ঘটনায়ঃ মোটরসাইকেলের পিছনে বস্তা ধরে বসে ছিল যেই জন তাহাকে ২ লাখ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয় এস আই জাহিদ।তাছাড়া ১ লাখ টাকার বিনিময়ে সেই মোটরসাইকেলটিও ছেড়ে দেন এসআই জাহিদ।শুধুমাএ আসামি মসিউর কে ২০০ বোতল ফেন্সিডিলসহ চালান দেন এবং খালেক জোলহা টাকা না দেয়ায় পলাতক মামলা দেন এসআই জাহিদ যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
উল্লেখ্য যে, ২০১৩ সালে মাদক সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সিলেট জেলার কানাইঘাট এলাকায় এই এসআই জাহিদের নামে এলাকার জনসাধারণ মানববন্ধন পর্যন্ত করেন। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের আজ ১ম পর্ব প্রকাশ করা হল। চলমান…….
Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.
Subscribe to get the latest posts sent to your email.