রাজশাহীতে সাংবাদিক হাবীব জুয়েলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে এবার দামকুড়া থানার সেকেন্ড অফিসার শাকিল:উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

রমজান আলী,উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: পুর্ব শত্রুতার জের ধরে দামকুড়া মুরালীপুর জাঙ্গল পাড়ায় এক বাড়িতে হামলার ঘটনার সংবাদ প্রকাশ করায় ও দামকুড়ার হরিপুরে পুলিশের সাথে মুদির ব্যবসায়ীর হাতাহাতির ঘটনায় দামকুড়া থানার সেকেন্ড অফিসার শাকিল কর্তৃক সাংবাদিক হাবিব জুয়েলকে বিভিন্ন চক্রান্তে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে।খোদ এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন অফিসে ফোন করে জানিয়েছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি।

তবে এই ঘটনার অন্তড়ালে লুকিয়ে আছে অনেক অজানা ও গভীর ষড়যন্ত্র।

সম্প্রতি দামকুড়া থানা কর্তৃক বেশ কয়েকটি আসামী ধরে ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় এলাকাবাসীর মনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এর মধ্য দামকুড়া থানাধীন সোনাকান্দির এক মহিলা মাদক ব্যবসায়ীকে ধরে তার কাছ থেকে আদায় করা হয় ২০ হাজার টাকা। রফাদফা শেষে ফেন্সিডিল ভর্তি বস্তা ফেরত দেন সেকেন্ড অফিসার শাকিল।

হরিপুরের মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের কাছে মাসিক মাশোহারা না পেয়ে তার স্ত্রীকে ধরে নিয়েও দেয়া হয় হিরোইন মামলা। যদিও ঐ মহিলার বিরুদ্ধে কোন হিরোইনের মামলাই কোনদিন ছিলনা।

তার কয়েক মাস আগে অর্থাৎ গত জুলাই মাসে মাদক ব্যবসায়ী আলতাব হোসেনও মাসিক মাশোহারা না দিলে তাকেও হিরোইন দিয়ে মামলা দেয়া হয়। অথচ আলতাব হোসেনের বিরুদ্ধে কোনদিনই ফেন্সিডিল মামলা ছাড়া আর কোন মামলা ছিলনা।

ফেন্সিডিল ব্যবসায়ী রফিকুলকেও একই ভাবে ধরে তার বিরুদ্ধেও দেয়া হয় হিরোইন মামলা। অথচ সেই মাদক ব্যবসায়ী রফিকুলের বিরুদ্ধে ১৫ টি মামলাই রয়ে ফেন্সিডিলের।

গত মাসে বিআরটিএর এক উর্ধতন কর্মকর্তাকে ধরে তার কাছ থেকে আদায় করা হয় প্রায় ১ লাখ টাকা।

এসকল গ্রেফতার বাণিজ্যর খবর একের পর এক গনমাধ্যমে আসতে থাকলে সাংবাদিক হাবিব জুয়েলের উপর ক্ষ্রীপ্ত হয়ে উঠেন দামকুড়া থানার সেকেন্ড অফিসারসহ তার অনুসারীরা। তবে বেশ কয়েকটি গোপন সূত্রে ও বিশ্বস্ত মাধ্যমে জানা গেছে- দামকুড়া থানার বেশ
কিছু পুলিশ সদস্য গ্রেফতার বাণিজ্যর সাথে জড়িত হয়ে পড়েছে।

তবে এলাকাবাসীর ভাষ্য অনুযায়ী দামকুড়া থানার ওসি মাজহার এসকল বিষয়ে মোটেও অবগত নন কারন এসকল ঘটনাগুলো ঘটার সাথে সাথেই ঘটনাস্হলেই রফাদফা করা হয় আসামীদের সাথে।তাই থানা পর্যন্ত এসকল বিষয় জানাজানি হয়না।আর ওসির অগোচরেই থেকে যায় এই বিষয়গুলো।

তবে সর্বশেষ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত – উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক ও বাংলাদেশ তৃনমূল সাংবাদিক কল্যান সোসাইটির রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি এম.এ.হাবীব জুয়েল বলেন – “আমার সাথে দামকুড়া থানার সেকেন্ড অফিসার শাকিল সাহেবের কিংবা থানার অন্য কারো সাথে কোন ব্যাক্তিগত দ্বন্ধ কিংবা কোন শত্রুতা নেই। তারপরও তিনি কেন বা কি কারনে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছেন তা আমার বোধগম্য নয়। তবে যে সকল গ্রেফতার বানিজ্যর সংবাদ আমার কাছে ছিল তা আমি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দফতরে বিষয়গুলো অবগত করেছি।আর সেই সাথে বাংলাদেশ পুলিশের সিকিউরিটি সেল বরাবর বিষয়গুলো তদন্তের জন্য অনুরোধ জানিয়ে দরখাস্তও করেছি।আশা করি ন্যায় বিচার পাবো”

 

১৬ নভেম্বর, ২০১৯ বাংলাদেশ সময় ৯:২০ এএম


উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.