থানা প্রতিনিধি,উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: উক্ত সংবাদটি উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন সহ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পরপরই মামলা করার উদ্যোগ নেন ওই দুই দম্পতি । রুয়েট শিক্ষক তার ফেসবুক টাইমলাইনে লিখেছিলেন - চোখের সামনেই নিজের স্ত্রীকে যৌন হয়রানি করছিল বখাটের দল। প্রতিবাদ করেছিলেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষক রাশিদুল ইসলাম। এ সময় বখাটেদের মারধরেরও শিকার হয়েছেন তিনি। অনেকেই দাঁড়িয়ে দেখলেও কেউ তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। রাশিদুল ইসলাম রুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক। তিনি ‘প্রধানমন্ত্রী গোল্ড মেডেল’ প্রাপ্ত শিক্ষক। গত ১০ আগস্ট সন্ধ্যার পর রাজশাহী মহানগরীর মনিচত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঐ শিক্ষকের স্ত্রী তাবাসুম ফারজানা বাদি হয়ে শুক্রবার বিকেলে বোয়ালিয়া থানায় মামলা করেছেন। নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, শুক্রবার বিকেলে রুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক রাশিদুল ইসলামের স্ত্রী তাবাসুম ফারজানা থানায় এসে বাদি হয়ে মামলা করেন।
মামলার এজহারে তিনি নিজের স্ত্রীলতাহানি ও স্বামিকে মারপিটের কথা উল্লেখ করে এই দুই ধারায় ১৫ ধেকে ২০ বছরের অজ্ঞাতনামা ৪ জন পুরুষ ও ৪জন মহিলাকে আসামী করে তিনি মামলা করেন বলে জানান ওসি।
এর আগে রাশিদুল ইসলাম বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ঘটনার সময় আশপাশে থাকা মানুষের কাছে ‘বাঁচান’ বলে সাহায্য চাইলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। একপর্যায়ে ‘ও আমার বউ, গার্লফ্রেন্ড না, কাবীননামা দেখাতে হবে আপনাদের?’ বললে উল্টো বখাটেদের পক্ষ নিয়ে একজন ভিড়ের মধ্য থেকে বলে, হ্যাঁ, কাবীননামা নিয়েই চলাফেরা করতে হবে!
মার খেয়ে কাপুরুষ আমি দর্শকদের বলি, আপনারা আজ এগিয়ে এলেন না, একদিন আপনার বউয়ের সঙ্গে এমন হলেও কেউ এগিয়ে আসবে না। ও আমার বউ, গার্লফ্রেন্ড না, কাবীননামা দেখাতে হবে আপনাদের? এ সময় একজন ভিড়ের মধ্য থেকে বলে বসলো, হ্যাঁ, কাবীননামা নিয়েই চলাফেরা করতে হবে। তিনি লেখেন, ধরেন দ্বিতীয়বার আক্রমণে ওরা আমাকে মেরে ফেলল। কি করবেন? ফেসবুকে কান্নাকাটি? জাত গেল জাত গেল রব তুলবেন? কোনোটাই করবেন না দয়া করে, এতে কিছু আসে যায় না। আর যারা করবে, তাদের গিয়ে থুথু দিয়ে আসবেন। ধরেই নিয়েছিলাম, পিএইচডি শেষ করে দেশে ফিরবো, মা বাবা চান না বাইরে সেটল হই। এই ঘটনার পর দ্বিতীয়বার ভাববো অবশ্যই।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com