রাজশাহী মেট্রোপুলিশের হাতে ৪০০ কিশোরের তথ্য

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজশাহী মেট্রোপুলিশের হাতে ৪০০ কিশোরের তথ্যস্টাফ রিপোর্টার,উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন ::  অপরাধ ও বিপথগামিতা ঠেকাতে উদ্যোগ নিয়েছে রাজশাহী পুলিশ। তৈরি করেছে নগরের প্রায় ৪০০ কিশোরের তথ্যভাণ্ডার। এর মাধ্যমে ওই কিশোররা কখন, কোথায় যাচ্ছে, তার নজরদারি করা হচ্ছে।

পুলিশ বলছে, প্রথমবার আটক হওয়া কিশোরদের ধরে সংশোধনের জন্য তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তখন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই তথ্যভান্ডার তৈরি করা হয়েছে। এসব কিশোরকে আইনি সচেতনতা ও মানবিক মূল্যবোধের বিষয়ে জাগ্রত করা হবে। শুধু শাস্তি নয়, এভাবে বিকল্প উপায়ে তাদের বিপথগামিতা থেকে ফেরানোর চেষ্টা করা হবে।

রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, রাজশাহীতে যোগদান করার পরই এখানে সাইবার ক্রাইম ইউনিট চালু করেছি। এই ইউনিটের মাধ্যমে কিশোর অপরাধীদের শনাক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই ৪০০ কিশোরকে ছোট ছোট দলে ভাগ করে তাদের আইন বিষয়ে সচেতন করা হবে। তাদের নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হবে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেই এই কাজ শুরু হবে। আপাতত কিশোরদের নজরদারির মধ্যে রাখা হচ্ছে।

পুলিশ জানায়, রাজশাহী নগরের হাদির মোড় এলাকায় একদল কিশোরের বিরুদ্ধে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ এক কিশোরকে আটক করে। পরে সাইবার ক্রাইম ইউনিট ঘটনাটি পর্যালোচনা করে জানতে পারে সে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। সাইবার ক্রাইম ইউনিট প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্যাংয়ের অন্য সদস্যদের শনাক্ত করে। পরিবারের সদস্যদের ডাকা হয়। তারা মুচলেকা দিয়ে নিয়ে নিজ নিজ সন্তানকে নিয়ে যান। এখন ওই কিশোররা পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে।

অনলাইন গেম পাবজির মাধ্যমে রাজশাহী নগরীর তেরখাদিয়া এলাকার এক কিশোরের সঙ্গে অন্য এক কিশোরের পরিচয় হয়। তেরখাদিয়ার কিশোরটি অন্য কিশোরের ছোট বোনের সঙ্গে পরিচিত হয়। একপর্যায়ে কৌশলে মেয়েটির ফেসবুক আইডি ও ফোন নম্বর নেয়। প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে ফেসবুক ও মেসেঞ্জারে অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও আদান-প্রদান করতে থাকে। পরে সেই ছবি ও ভিডিও দিয়ে মেয়েটিকে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে।

এ নিয়ে মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। সাইবার ক্রাইম ইউনিট অনুসন্ধান করে জানতে পারে, ছেলেটি কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত। সাইবার ক্রাইম ইউনিট ওই কিশোর গ্যাংয়ের হাইটেক ডিভাইস থেকে ছবি ও ভিডিও উদ্ধার করে। এখন পুলিশ ওই কিশোরের চলাফেরার ওপরে নজরদারি করছে।

সাইবার ক্রাইম ইউনিটের প্রধান উৎপল কুমার চৌধুরী বলেন, রাজশাহী মহানগরের বিভিন্ন থানায় যেসব কিশোর গ্যাং বা বাইক পার্টির সদস্য ধরা পড়ছে, তাদের নিয়ে তথ্যভা-ার তৈরি করা হচ্ছে। এই তথ্য ব্যবহার করে বিট পুলিশ কর্মকর্তারা কিশোরদের নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন।


উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.