রাজশাহী মসজিদ মিশনের একাডেমীর অনিয়ম ও দুর্নীতি তুলে ধরে বাদশার সংবাদ সম্মেলন

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার,উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন : রাজশাহীর মসজিদ মিশন একাডেমী গত ১০ বছর ধরে ১১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। আজ সোমবার (১০ আগস্ট) সকালের দিকে রাজশাহীর নানকিং দরবার হলে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিম অনুষ্ঠানে, রাজশাহীর সদর আসনের সাংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা এ তথ্য তুলে ধরেন।

শিক্ষামন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে সাংসদ বাদশা বলেন, ২০০৬-০৭ অর্থবছর হতে ২০১৫-১৬ অর্থবছর পর্যন্ত রাজশাহীর মসজিদ মিশন একাডেমী ১১ কোটি টাকা ব্যয় দেখিয়েছে। অথচ এই ব্যয় ব্যাংক চেকের মাধ্যমে করা হয়নি। নগদ ক্যাশে খরচ করা হয়েছে। নগদে পাওনা পরিশোধ দেখানোর কারণে টাকা ব্যয়ে কোনো স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়নি। নগদে ব্যয়ের ক্ষেত্রে অর্থ আত্মসাতের সুযোগ থাকায় সেই ব্যয় যথাযথ নয়। বরং আর্থিক বিধি মোতাবেক আত্মসাৎ হিসেবে গণ্য হবে।

সাংসদ বাদশা আরো বলেন, রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার এলাকায় অবস্থিত মসজিদ মিশন একাডেমী বাংলাদেশ মসজিদ মিশন রাজশাহী জেলা শাখা সমাজকল্যাণ দপ্তর কর্তৃক একটি সংস্থা হিসেবে বিবেচিত। সংস্থাটি ১৯৭৬ সালে জেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে নিবন্ধিত হলেও সংস্থা হিসেবে বর্তমানে এর কোনো বৈধতা নেই।১৯৭৬ সালের পর থেকে তা নবায়ন করা হয়নি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদিত নয়। অথচ সমাজসেবা দপ্তরের নিবন্ধনকৃত সেই অবৈধ সংস্থার মাধ্যমে মসজিদ মিশন একাডেমী পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে একাডেমীটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের কার্যক্রম পরিচালিত করে আসছে।

উক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি রাজশাহী মহানগরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত থাকায় দীর্ঘদিন স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও জঙ্গিবাদীরা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেশকিছু সংখ্যক শিক্ষক জামায়াতী ইসলামের সাথে যুক্ত এবং তাদের বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী জঙ্গি তৎপরতার কারণে বিভিন্ন ফৌজদারী মামলাও রয়েছে একাধিক।

গণমাধ্যম কর্মীদের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে জানতে মসজিদ মিশন একাডেমীর অধ্যক্ষ নুরুজ্জামান খানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। আমি গতবছর অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেছি। আগে কি হয়েছে তা আমার জানা নেই। সাংসদ বাদশা কি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সেটাও আমার জানা নেই। তবে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা বিভাগ থেকে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। পূর্বের অধ্যক্ষের সময়ে পাঠানো। আমি এখনো পড়ে দেখেনি সেই প্রতিবেদনে কি লিখা রয়েছে।


উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.