নিজস্ব প্রতিবেদক,উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: গত ১৮/১০/২০২০ ইং তারিখে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ(আরএমপি)র অভিযানে বিপুল পরিমাণ হেরোইনসহ এক মাদক পাচারকারীকে আটক করা হয়। মাদক পাচারকারী রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানাধীন মাটিকাটা কলেজ সংলগ্ন উজানপাড়া গ্রামের সাহাবুদ্দীন ইসলাম মন্টুর ছেলে ইসমাঈল হোসেন (৩০) । আর এই ৩০০ গ্রাম হিরোইন নিয়ে মাদককারবারীরা শুরু করেছে নতুন ধুম্রজাল।অবশ্য রাজশাহী বোয়ালিয়া মডেল থানার এসি ফারজানার বুদ্ধিমত্তায় সংরক্ষিত করা হয়েছিল মাদক উদ্ধার অভিযানের ভিডিওটি।বিধায় মাদককারবারীরা অনেকটাই হতাশ।তারপরও ইসমাইলের স্ত্রীকে দিয়ে দেয়া হয়েছে রাজশাহী পুলিশ কমিশনার বরাবর অভিযোগ।
এদিকে রাজশাহী বোয়ালিয়া মডেল থানাকে আলোচিত ও সমালোচিত করতে অতি উৎসাহী হয়ে উঠেছে একটি মাদক চক্রর সিণ্ডিকেট। রাজশাহী মহানগরীতে বর্তমান পুলিশ কমিশনার যোগদানের পর পরই মাদক ও কিশোর গ্যাংকে দমন করতে বৃহৎ কর্মসূচি হাতে নেন।আর এই ধারাবাহিকতায় অভিযান শুরু হলে নড়েচড়ে বসে মাদক চক্রের সিন্ডিকেটগুলো। অবশ্য এই মাদক সিন্ডিকেটের মধ্য অনেক নামধারী সাংবাদিক, দূর্নীতিবাজ পুলিশ, ডাক্তার ও অনেক রাজনৈতিক দলের পথভ্রষ্ট নেতারাও যে জড়িয়ে আছেন তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।পরিসংখ্যানে দেখা যায়,গত ১ মাসে রাজশাহী বোয়ালিয়া মডেল থানা বেশ কয়েকটি মাদক ও স্বর্ন চোরাচালান সিন্ডিকেটকে মামলা দিয়েই সমালোচনার মুখে পড়েন । সেই সাথে আসতে থাকে অভিযোগের পর অভিযোগ।যদিও অভিযোগগুলোর বিন্দুমাত্র সত্যতা কিংবা কোন ভিত্তি ছিলনা তারপরও পুলিশকে এই ধারাবাহিক অভিযান থেকে সরাতেও শুরু হয় অভিযোগের ধারাবাহিক প্যাকেজের নাট্যপর্ব।
এদিকে সরেজমিন অনুসন্ধানে গোদাগাড়ী থানা অঞ্চলে গেলে বিশিষ্ট হিরোইন ব্যবসায়ী ইসমাইলের বিষয়ে এলাকাবাসীর কাছে খবর নিতে গেলে উঠে আসে আরোও বিস্তর তথ্য।
মাটিকাটা এলাকার আব্দুস সামাদ নামের একজন স্কুল শিক্ষক বলেন- ইসমাইল এর আগেও দেশের বিভিন্ন জেলায় মাদক মামলায় কারাগারে ছিল এবং এলাকায় পুলিশ তার খোঁজ খবর নেয়ার জন্য এসেছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাবেক মেম্বার বলেন- সে নিয়মিত মাদক সেবন করে ও বাসায় মাদক রেখেও বিক্রি করে।এর আগে নয়ন ডাক্তারের ভাগিনা জসিম নামের এক গডফাদারের ছত্রছায়ায় সে অত্র এলাকায় মাদক বিক্রিকালে রাজশাহী জেলা ডিবি আটক করলেও পরে উৎকোচের বিনিময়ে ছাড় পেয়ে যায় ইসমাইল।কিন্তু থেমে থাকেনি ব্যবসা।
পিডিবির অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার গফুর বলেন- যদিও চাকুরীর সুবাধে আমি গ্রামের বাহিরে থাকতাম তারপরও গ্রামে আসলেই দেখতে পেতাম কখনো পুলিশ কখনো ডিবি ইসমাইলের বাড়ীতে তল্লাশী চালাচ্ছে।
এদিকে রাজশাহী গোদাগাড়ী থানার ওসি খায়রুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান- আমার জানামতে, রাজশাহী বোয়ালিয়া মডেল থানার কোন টিম গোদাগাড়ী থানা এলাকাতে কোন অভিযান চালায়নি কিংবা কাউকে গ্রেফতারও করেনি।তবে সীমান্তবর্তী থানা হওয়ায় এই এলাকার অধিকাংশ নিম্ন আয়ের মানুষ মাদক ও চোরাচালান ব্যবসার সাথে জড়িত।বিধায় তারা কখন কোন নাটক সাজিয়ে আইন- শৃঙ্গখলা বাহিনীকে সমালোচিত করে তা বোঝা বড় মুশকিল।এই জন্য আমাদেরকেও মাদক উদ্ধারের পর অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
সার্বিক বিষয় নিয়ে রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখার আহম্মেদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান - গোদাগাড়ী অঞ্চলে মাদক সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের তালিকায় ইসমাইল সহ অত্র এলাকার আরো কয়েকজনের নাম রয়েছে।শুধু তাই নয় এ সকল মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক নিয়ে ধরা পড়লেই শুরু হয় তাদের পরিবার থেকে অভিযোগের পর অভিযোগ।কারন হিসেবে বলা যেতে পারে, তাদের পরিবারের সদস্যরাও মাদক ব্যবসার সাথে কোন না কোনভাবে সম্পৃক্ত।
এদিকে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র এডিসি রুহুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান- বোয়ালিয়া মডেল থানার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ী ইসমাইলের স্ত্রী যে অভিযোগ করেছেন তাও আমরা খতিয়ে দেখছি।কিন্তু পুলিশের কার্যক্রমকে স্থবির করতে কেউ যদি কোন পুর্বপরিকল্পিতভাবে পুলিশের ভাব-মূর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালায় তবে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে এক্ষেত্রে কাউকে কোন ছাড়ের প্রশ্নই আসেনা।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com