স্টাফ রিপোর্টার, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: রাজশাহী জেলায় প্রথম ও সারাদেশের মধ্যে ২৬ তম চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। আইসিডিডিআরবি সূত্র অনুযায়ী ফ্যাসিলিটি স্কোর ৭৮ দশমিক ৮২ স্কোর নিয়ে স্বীকৃতি পায় রাজশাহী চারঘাট উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনুমোদিত চিকিৎকের পদ ২৫টি হলেও কর্মরত আছেন ১০ জন। প্রায় বছর ধরে কার্ডিওলোজি, মেডিসিন, অর্থপেডিক্স, সার্জারি, ইএনটি, অপথোমেলোজি বিভাগে ডাক্তার নেই। অ্যানেসথেশিয়া ও গাইনি বিভাগে ডাক্তার না থাকায় জরুরি প্রসূতিসেবা বন্ধ রয়েছে। টেকনেশিয়ান ও অপারেটরের অভাবে পড়ে আছে এক্সরে, ইসিজি ও সনোরোজিষ্ট মেশিন।
কিন্তু বাস্তব চিত্র পুরোটাই অন্যরকম। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ চিকিৎসা নিতে আসা রোগিরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
চারঘাট উপজেলার মুক্তারপুর থেকে আসা ৭০ বছর বয়স্ক আব্দুল লতিফ বলেন, এ হাসপাতালে আসা মানেই ঘন্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে সময় নষ্ট করা। চিকিৎসা সেবার মান ভালো না। দিনে কয়েকজন ডাক্তারের দেখা মিললেও রাতে ডাক্তারের দেখা মেলা ভার। দেখা মিললেও নির্ধারিত সময়ে আসেন না কেউ।
কলেজ ছাত্র শিহাব আহম্মেদ বলেন- দৈনন্দিন ঔষুধ বিতরণের তালিকা বোর্ড অনুযায়ী ঔষুধ বিতরণ করা হয় না এবং তারিখ অনুযায়ী ঔষধ তালিকা বোর্ড হালনাগাদ করা হয় না। ডাক্তারদের উপস্থিতিতে ভাড়াটে, বহিরাগত মেডিকেল অ্যাসিসটেন্স ও ওয়ার্ডবয় দিয়ে চলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রম।
উপজেলার সলুয়া গ্রাম থেকে আসা গৃহবধূ মরিয়ম বেগম বলেন - দক্ষতা না থাকলেও স্টোর কিপার মোমিনকে দিয়ে চলে ইসিজি পরিক্ষা। নির্ধারিত বিষয়ে দক্ষতা না থাকায় অধিকাংশ সময় ইসিজির সঠিক রির্পোট পাওয়া যায় না। ফলে নিরুপায় হয়ে প্রাইভেট ক্লিনিক বা ডায়াগনেষ্টিক সেন্টারে যেতে হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আশিকুর রহমান বলেন, ডাক্তার ও অপারেটর সংকটে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন পদের ডাক্তার, টেকনিশিয়ান ও অপারেটরদের চাহিদা উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে দেয়া হয়েছে। অতি শীঘ্রই এ বিষয়ে সমাধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তবে রাজশাহী জেলার শ্রেষ্ঠ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চারঘাট হওয়ায় রীতিমত বিস্মিত হয়েছেন চারঘাটের সাধারণ মানুষ। চারঘাটের নেতৃস্থানীয় ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ বলছেন - যেখানে সেবা পাওয়া যায়না, যেখানে কার্ডিওলোজি, মেডিসিন, অর্থপেডিক্স, সার্জারি, ইএনটি, অপথোমেলোজি বিভাগে ডাক্তার নেই, টেকনেশিয়ান ও অপারেটরের অভাবে পড়ে আছে এক্সরে, ইসিজি ও সনোরোজিষ্ট মেশিন তারপরেও কিভাবে একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স শ্রেষ্ঠ হতে পারে তা আমাদের বোধগম্য নয়।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com