রাজশাহী কাটাখালিতে পিএসআই নুর মোহাম্মদের আশীর্বাদে বেপরোয়া মাদক ব্যবসায়ীরা:উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

এস.এম.বাবু, বিশেষ প্রতিনিধি :: মাদক ব্যবসায়ী ও সোর্সদের সাথে সখ্যতা থাকায় ঝিমিয়ে পড়েছে রাজশাহী কাটাখালি থানার পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানের কার্যক্রম।সম্প্রতি নেই কোন সফল মাদক বিরোধী অভিযান । আর আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে দেশের প্রতিটি মানুষ হচ্ছে ঘরমুখী।

আর এরই মধ্যে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কাটাখালি থানার পিএসআই নুর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে মাদক কারবারিদের সাথে সখ্যতাসহ ডজন খানেক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে । কাটাখালি থানার টাংগন, শ্যামপুর, সাহাপুর, মাসকাটাদিঘি, ডাসমারি এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে প্রতি নিয়ত চলে এই পুলিশ সদস্যর গোপন আঁতাত।

টাংগন এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী আকু, মিলন, হারান ওরফে হারু, নাজমুল ওরফে সোর্স বাবু,শ্যামপুর এলাকার বাদশা, সফিকুল,তারেক-সহ গরু চোর চক্রের সদস্যদের নিয়ন্ত্রন করে থাকেন এই পিএসআই নুর মোহাম্মদ । সাপ্তাহিক মাসোহারার দায়িত্ব পালন করেন আদায় নাজমুল ওরফে সোর্স বাবু।কোন মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা হলেই অদৃশ্যভাবে তদবিরে হাজির হন নাজমুল ওরফে সোর্স বাবু।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে টাঙ্গন এলাকার একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ তুলে বলেন এরা মাসিক চুক্তিতে নিয়ন্ত্রন করেন তাদের। ৫০০ বোতল ফেনসিডিল ধরলে তা থানায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে হয়ে যায় ১০০ বোতল,আবার অনেক সময় মাদকসহ আসামি ধরলে থানায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে হয়ে যায় পরিত্যাক্ত মাদকদ্রব্য । আর ঘুরে ফিরে মাদক মামলা গুলোর পুলিশের সাক্ষী হয় পুলিশেরই সোর্স। অনুসন্ধানে দেখা গেছে একেকজন সোর্স নূন্যতম ৫/৬ টি মামলার সাক্ষী। কখনো বাবু নামে আবার কখনো নাজমুল নামে আবার কখনো হারান নামে আবার কখনো হারু নামে। কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্য যে এই ২ ব্যাক্তিই ঘুরেফিরে ৪ ব্যাক্তির নাম ব্যবহার করে।

সরেজমিন মাস খানেক আগে পিএসআই নুর মোহাম্মদের গাফেলতির কারণেই পুলিশ লাইনে ক্লোজ হন ২ পুলিশ কনস্টেবল। কিন্তু অদৃশ্য কারণে বহাল তবিয়তে থেকে যান নুর মোহাম্মদ । তবে এলাকায় কথিত আছে, খোঁদ রাজশাহী কাটাখালি থানার ওসিকেও নাকি তোয়াক্কা করেননা এই নুর মোহাম্মদ আর সেই সাথে কথায় কথায় বলে থাকেন – আমার ওসি কি আমার চাকরি খাইতে পারবে…..?

অনুসন্ধানে জানা গেছে ,রাজশাহী কাটাখালির পদ্মা নদীর ঘাটে নুর মোহাম্মদের আর্শীবাদ ছাড়া কোন অবৈধ মালামাল আসলেই জব্দ হয়ে যায় কিন্তু তার আর্শীবাদ নিলে সব হালাল হয়ে যায়। মুঠোফোনে থানার কাছে জানতে চাইলে প্রথমে অভিযোগ গুলো তারা অস্বীকার করলেও কিছুক্ষনের মধ্যে আসে বিভিন্ন মহলের তদবির । আবার কখনো মুঠোফোনে আসে চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী আকু, মিলন, হারান ওরফে হারু কিংবা নাজমুল ওরফে সোর্স বাবুর হুমকি ।

অবশ্য অন্যদিকে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা সংস্থা বলছে – এরা সকলেই পুলিশ এসল্ট মামলার চিহ্নিত আসামি আর এদের সকলেরই নামে আছে কোন না কোন মাদক মামলা। তারপরও পুলিশ কি কারণে তাদের আশ্রয় দেয় তা নিয়ে আমরা সন্ধিহান ।

মহাগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস মুঠোফোনে বলেন, ‘যে কোন অভিযোগের বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে যেই হোক অপরাধী হয়ে থাকলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। কোনও ব্যক্তির দায় রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) গ্রহণ করবে না।

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….


উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.