থানা প্রতিনিধি,উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :
বাঘায় বাদশা আলম নামের এক মুদি দোকানদার বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে, এক স্বামী পরিত্যক্ত নারীকে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এতে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। কিন্তু বাদশা এখন তাকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় অসহায় হয়ে পড়েছে ভূক্তভোগি নারী।
বিষয়টি চারঘাট ও বাঘা আসনের সংসদ সদস্য জনাব, শাহরিয়ার আলম জানতে পেয়ে, সন্তান প্রসব পর্যন্ত ওই নারীর চিকিৎসার ভার এবং ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তার সন্তানের লালন, পালনসহ সমস্ত ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব নিয়েছেন। শুক্রবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নারীর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পরীক্ষার ব্যয়সহ আগামী দিনগুলোতে তার নিত্যদিনের যাবতীয় ব্যয় ও শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর ওই শিশুকে লালন, পালনসহ সব ব্যয় বহন করবেন প্রতিমন্ত্রী।
বাঘা উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ফাতেমা মাসুদ লতা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারীর স্বামী প্রায় ৭ মাস আগে দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র চলে যান। এরপর ওই নারীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিবেশী মুদি দোকানি বাদশা আলম শারীরিক সম্পর্ক করে। এতে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
পরে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় নিরুপায় হয়ে ঘটনার পাঁচ মাস পর গত (২৯ সেপ্টেম্বর) তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করে ভুক্তভোগী ওই নারী। মামলার পাঁচদিন পর অভিযুক্ত বাদশা আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।
বাঘা উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ফাতেমা মাসুদ লতা জানান, ভুক্তভোগী নারীর খবরটি শোনার পর আমি তার পাশে দাঁড়াই। যতটুকু জানি, ওই নারীর পাশে তার মা ছাড়া এখন আর কেউ নেই। আমি বিষয়টি রাজশাহীর চারঘাট-বাঘার সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে জানালে তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।
জানতে চাইলে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণ মামলার আসামি বাদশা আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.
Subscribe to get the latest posts sent to your email.