স্টাফ রিপোর্টার,উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন:: পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে রাজশাহীর প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, রাজশাহী যথেষ্ট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নগরী।
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতেও রাজশাহী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘পরিচ্ছন্ন গ্রাম-পরিচ্ছন্ন শহর’ কর্মসূচির আওতায় দেশব্যাপী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজশাহীর সঙ্গে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখনই তিনি রাজশাহীর প্রশংসা করেন।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী সদর আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকারসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গণভবনের সঙ্গে সংযুক্ত হন।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবীর খোন্দকার রাজশাহী প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্স সঞ্চালনা করছিলেন। প্রথমেই তিনি পরিচ্ছন্ন গ্রাম-পরিচ্ছন্ন শহর গড়ে তুলতে গৃহীত নানা পদক্ষেপের কথা প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভালো উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রতিটি গ্রামে আমরা নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে চাই। আর নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে পারে, সেটাও আমাদের একটা লক্ষ্য। প্রতিটি এলাকা সুন্দর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হোক, সেটাই আমরা চাই।
এরপর প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেন। বলেন, যেহেতু একটা মহানগরের দায়িত্বে মেয়র সাহেব, আমরা তার কাছ থেকেই কথা শুনব এবং সঙ্গে সঙ্গে তার অঙ্গীকারটাও নেব যে তিনি এ ব্যাপারে সবাইকে নিয়ে কাজ করবেন।
সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, গতবছর আমরা ডেঙ্গু মোকাবিলায় কাজ করেছি। এ বছরও আমরা বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে কথা বলে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। এছাড়া পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আওতায় আমাদের শহরের সকল বড় ও মাঝারি নর্দমাগুলো পরিষ্কার করতে শুরু করেছি। কাজ করা হচ্ছে জলাবদ্ধতা নিরসন করতেও। মশক নিধনে ফগার মেশিন ব্যবহার করছি।
এ সময় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনকে সহযোগিতা করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মেয়র। বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনকে সম্প্রতি তিন হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন। এ জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আপনার যখন যে আদেশ আমি পেয়েছি সেটা মাথায় নিয়েই কাজ করছি। আপনার যে সহযোগিতা পাই সেটার পরিপূর্ণ ব্যবহার করেই আমরা এ অঞ্চলের মানুষকে ভালো রাখার চেষ্টা করছি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীর প্রতিটি ওয়ার্ড পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দেন। বলেন, প্রতিটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য যেন আলাদা জায়গা সুনির্দিষ্ট থাকে। প্রতিটি ওয়ার্ড পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বর্জ্যগুলোকে রিসাইকেল করার ব্যবস্থা আমরা করব। সেটা আমাদের প্ল্যান আছে। বিশেষ করে হাসপাতালের বর্জ্যটা বিশেষভাবে নিঃশেষ করার জন্য আমি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিচ্ছি।
গণভবনে বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহী প্রান্তে ছিলেন পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) একেএম হাফিজ আক্তার, জেলা প্রশাসক হামিদুল হক, নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সুজায়েত ইসলাম, সমাজসেবী শাহীন আক্তার রেনী, রাজশাহী নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সদ্য সাবেক সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলীসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com