মাজহারুল ইসলাম চপল :: রাজশাহীর পবা উপজেলার মাড়িয়া গ্রামে বাল্যবিবাহ বন্ধ করলেন পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শিমুল আক্তার।
গত ২০ নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে আনুষ্ঠিকতার মাধ্যমে বিয়ের আয়োজন করেন পবা উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের নাবালিকা মেয়ে মেঘনার বাবা মোঃ সুফিয়ান। মেয়ে মেঘনা আক্তার এসএসসি পাশ করে ২০২০ সালে। বাবা সুফিয়ান লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারবে না দেখে কলেজে আর ভর্তি করাননি। কিন্তু‘ মেঘনার লেখাপড়া করার ইচ্ছা থাকলেও বাবার অসচ্ছলাতার কারনে বিয়েতে রাজি হয়। তাই দেখা শোনার মাধ্যমে রাজশাহী শহরের বহরমপুর এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে আল-আমিন (৩৫) এর সাথে বিয়ে ঠিক হয়। কথা বার্তা অনুযায়ী ২০ নভেম্বর বিয়ের পীঁড়িতে বসেন আল-আমিন। ঠিক সে সময় ৯৯৯ ও অপরিচিত নাম্বার থেকে কল দেয়া হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল আক্তারের নিকট। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বিয়ের অসরে হাজির হন উপজেলা নির্বাহী অফিসার । সেখানেই বয়স যাচাই বাছাই করে বাল্যবিবাহ হিসেবে গন্য করেন এই চক্ষুশ অফিসার । এরপর বিয়ের স্থল থেকে বর আল-আমিন ও মেয়ের বাবা সুফিয়ান কে আটক করে পুলিশ। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজ কার্যালয়ে এসে ভ্রাম্যমান আদালত গঠন করে দুইজনকে সাজা হিসেবে ৬ মাসের জেল ধার্য্য করেন এবং তাদেরকে জেল হাজতে পেরন করেন।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শিমুল আক্তার এর সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনা সঠিক রয়েছে। ৯৯৯ ও অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে আমাকে জানালে আমি দ্রæত ঘটনা স্থলে হাজির হয় এবং যাচাই বাছাই করি। যেহেতু মেয়েটা নাবালিকা, তাই বিয়েটি বন্ধ করা হয়েছে। সে সবে মাত্র এসএসসি পাশ করেছে। মেয়েটার বয়স জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী কেবল ১৬ বছর ৭ মাস কয়েক দিন। সরকার বাল্যবিবাহ বন্ধের জন্য সব সময় ততপর রয়েছে। বল্যবিবাহ হলে অনেক রকমের সমস্যা হয় এটা আপনারা সবাই জানেন। তাই বাল্যবিবাহ বন্ধে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। সেখানে কাউকে আটক করা হয়েছে কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর ও কনের বাবাকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৬ মাসের জেল দেওয়া হয়েছে।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com