নিজস্ব প্রতিবেদক,উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা মাহালীপাড়া এলাকায় ‘সাধুজন মেরী ভিয়ান্নী গির্জায়’ তিন দিন আটকে রেখে ১৫ বছরের এক আদিবাসী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ওই গির্জার ফাদার প্রদীপ গ্রেগরি। শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় গির্জার পাশে ঘাস কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হয় ওই কিশোরী। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে পরদিন থানায় জিডি করেন কিশোরীর ভাই।
এরপর সোমবার দুপুরে জানা যায়, নিখোঁজ কিশোরী গির্জার ফাদার প্রদীপের রুমে বন্দি অবস্থায় আছে। এ নিয়ে গ্রামের মোড়ল ও মুণ্ডুমালা সরকারি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কার্মেল মার্ডির নেতৃত্বে সন্ধ্যায় গির্জার ভেতরে সালিশ বসে। সেখানে দোষ প্রমাণ হওয়ায় ফাদার প্রদীপকে অপসারণ করে রাজশাহীতে নিয়ে আসা হয়। ভুক্তভোগী কিশোরীকে রাখা হয় গির্জার ভেতরে সিস্টারদের কাছে।
জানা গেছে, গির্জা কর্তৃপক্ষ তখন কিশোরীর পরিবারকে জিডি প্রত্যাহার করে তাকে ফেরত নিতে বলে এবং সাবালিকা হওয়া পর্যন্ত কিশোরীর সব খরচ বহনের প্রতিশ্রুতি দেয়। পরে কিশোরীর ভাই জিডি তুলে নিলেও ওই কিশোরীকে গির্জা থেকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। উল্টো সমাজচ্যুত করার হুমকি দিয়ে গির্জার প্রধান ফাদার প্যাট্রিক গোমেজ ও সালিশ বৈঠকের প্রধান কামেল মার্ডি ওই কিশোরীকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গির্জায় আটকে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান জানান, পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় মেয়েটির ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। আসামি প্রদীপ পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.
Subscribe to get the latest posts sent to your email.