স্টাফ রিপোর্টার :: রাজশাহী পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুরিয়া বাজারে চারঘাট উপজেলা বাদুড়িয়া গ্রামের মাহাবুর মিয়া। ঈদে কোরবানি করা পশুর চামড়া বিক্রি করতে গিয়ে পড়েন চরম বিপাকে। কোরবানি করা ছাগলের চামড়াটি তিনি বিক্রি করেছেন মাত্র ৫ টাকায়। অথচ বাজারে চামড়া নিয়ে যেতে তার খরচ হয়েছে ৪০ টাকা।
মাহাবুর মিয়া বলেন, বাদুড়িয়া থেকে আমার আশা-যাওয়ার গাড়ী ভাড়া ৪০ টাকা খরচ হয়েছে। অথচ আমার ছাগলের চামড়ার দাম পেলাম মাত্র ৫ পাঁচ টাকা। ভেবেছিলাম যা পাবো সেটি মাদ্রাসার এতিমদের দান করব। কিন্তু এখন আর দিতে পারছি না।
শুধু মাহবুর মিয়াই নয়, রাজশাহীর অধিকাংশ এলাকার চিত্র এমনই। বাড়িতে চামড়া কিনতে না আসায় বাজারে চামড়া নিয়ে গিয়ে সেটি প্রায় বিনা মূল্যেই বিক্রি করতে হচ্ছে জেলার সাধারণ মানুষদের। ফলে গরিব-দুঃখীরা তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহীর বেলপুকুরিয়া বাজার, বানেশ্বর বাজার ও হাট শিবপুর বাজারের চামড়ার ব্যবসায়ীরা জেলার ৯টি উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে গ্রামে লোক নিয়োগ করতেন চামড়া কেনার জন্য। সেই সঙ্গে মৌসুমী ব্যবসায়ীরাও প্রতিযোগিতা করে চামড়া কিনতেন । তবে বিগত কয়েক বছর ধরে পশুর চামড়া ন্যায্যমূল্যে বিক্রি না হওয়ায় এখন আর চামড়া কেনার সেই ধুম চোখে পড়ে না।
জেলার একাধিক চামড়া ব্যবসায়ীর সাথে কথা বললে তারা জানান, গত কয়েক বছরে চামড়া নিয়ে এমন বিপর্যয় তারা দেখেননি । করোনার কারণে চামড়ার দাম কমে যাওয়ায় সব চেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে এতিম খানা, মাদ্রাসা ও হত দরিদ্র মানুষেরা।
এ বিষয়ে চামড়া আড়তদার ফজলুর রহমান বলেন, চাহিদা না থাকায় চামড়া কম দামে নিতে হচ্ছে। এ চামড়া কিনেও লাভ হবে কিনা জানা নেই। তারপরও কিনছি। ফড়িয়ারদের কাছে দুই/এক টাকা বেশি দিয়ে চামড়া কিনছি। এছাড়াও সমাজ প্রধানের প্রতিনিধিরা চামড়া নিয়ে আসছেন। তাদেরও কাছে থেকে ফড়িয়ারদের মতো দাম দিয়ে কিনছি।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com